প্রকাশ: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:২৭ পিএম (ভিজিটর : ৩৫)

‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচিতে জোনায়েদ সাকী। ছবি: প্রতিনিধি
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর সেতু পয়েন্টে অনুষ্ঠিত ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি এই অঞ্চলের লাখো মানুষের জীবন-জীবিকার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচির আওতায় রংপুর অঞ্চলের ১১টি পয়েন্টে একযোগে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জনাব জোনায়েদ সাকীও সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘তিস্তা নদীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন হলে এই অঞ্চলের কৃষি, মৎস্য ও পরিবেশ রক্ষা সম্ভব হবে। দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত তিস্তা পাড়ের মানুষ আজ ন্যায্য অধিকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু জানান, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে নদীর দুই তীরের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন সম্ভব হবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চলছে।’
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন পয়েন্টে যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার এ আন্দোলন ইতোমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে, যা এই অঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য অপরিহার্য।
কেকে/ এমএস