যশোরের কেশবপুরে কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ থাকায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকের অপারেশন কক্ষ, ডায়াগনষ্টিক কক্ষ ও অন্যান্য ডাক্তারদের কক্ষ বন্ধ রয়েছে। তবে ক্লিনিকের ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফরা রিসিপশনে বসে আছেন।
যশোর, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার মধ্যবর্তী স্থানে এই ক্লিনিকের অবস্থান। এই ক্লিনিকের পাশাপাশি আরো ৬টি ক্লিনিক এবং ১২টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার রয়েছে। প্রায় ১৪ বছর ধরে সুনামের সাথে কপোতাক্ষ ক্লিনিকটি অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা রোগীদের সেবা দিয়ে আসছিল।
সম্প্রতি একজন হার্নিয়া রোগীর অপারেশনকে কেন্দ্র করে ক্লিনিকটির সকল কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। যে সব অভিজ্ঞ ডাক্তারদের কাছ থেকে রোগীরা সেবা নিচ্ছিলেন তারা এসে ক্লিনিক বন্ধ থাকায় সেই সেবা নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। যে কারণে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বন্ধ ক্লিনিকটি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ক্লিনিকের মালিক রাশিদুল আলম লিটুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে ক্লিনিকের নিয়মানুযায়ী ডাক্তার, নার্স ও সরঞ্জামাদি রয়েছে। ডাক্তার, নার্সসহ মোট ২৫ জন স্টাফ রয়েছে এ ক্লিনিকে। বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ডাক্তার বিভিন্ন সময় রোগী দেখেন ও অপারেশন করেন।
তিনি আরো বলেন, গত ৬ মাসে এ ক্লিনিকে ৪ হাজার ৭৪২ জন রোগীকে আউটডোরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ক্লিনিকে প্রতিমাসে প্রায় ৯০ থেকে ১১০ জন সিজার, নরমাল ডেলিভারীসহ অন্যান্য অপারেশন হয়ে থাকে। আউটডোরে নিয়মিত ৩ জন ডাক্তার সব সময় রোগী দেখেন। মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট দ্বারা সি গ্রেডের প্যাথলজিতে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা নিয়মিত রঙিন (ডিজিটাল) আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানো হয় এ ক্লিনিকে।
ক্লিনিকে আসা বেতিখোলা গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, আমি হার্টের রোগী। ডা. মাসুম বিল্লাহর কাছে নিয়মিত আসি। ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়ায় চিকিৎসা নিতে পারছি না। বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানো আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই আমি ক্লিনিকটি খুলে দেওয়ার দাবি করছি।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, আমি কেশবপুরে চাকরি করছি ৩ বছরেরও বেশি সময়। এখানে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার রয়েছে। তাদের সেবা মোটামুটি ভালো। তবে কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি থাকায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ত্রুটিমুক্ত হলে পুনরায় খুলে দেওয়া হবে ক্লিনিকটি।
কেকে/এএম