ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পর চালক হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে নৌ-পুলিশ। রোববার নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। একই অভিযানে ছিনতাই চক্রের আরো তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অটোরিকশা ছিনতাই, অটোচালককে গুমের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো- লিয়ন(৩২), বোরহান ওরফে ইমরান ওরফে সোহেল ওরফে পিচ্ছি(২১), মো. শাওন বেপারী(২২), মোসা. পারভীন বেগম(২২)। ছিনতাইচক্রের সদস্যরা হলো- শাহীন মোল্লা(৩০), মোহাম্মদ আলী(৫৫) ও মো. আল আমিন সর্দার(৩৮)।
এসময় তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাইকৃত একটি ইজিবাইক, নিহত চালকের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, চালককে অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক ঔষধ, ইজিবাইক বিক্রির নগদ ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ১৬ জানুয়ারী কাঁচপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রনাধিন এলাকার সাইলো ঘাট সংলগ্ন খাদ্য গুদামের পূর্ব পাশের শীতলক্ষ্যা নদীর তীর হতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মহরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে নিহত আব্দুল জব্বারের পরিচয় শনাক্ত হলে গত ৫ ফেব্রুয়ারী তার ছেলে মাহবুব বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত আব্দুল জব্বারের গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। তিনি পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বসবাস করতেন। হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ার আগে তিনি ফতুল্লার একটি গ্যারেজ থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন।
পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, আটকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে অতিতের বিভিন্ন ঘটনায় মামলা রয়েছে। এই হত্যাকান্ডে আরো সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। আমরা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গ্রেফতাকৃতদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করবো। তাদেরকে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কেকে/এজে