সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজারের বেশি অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। গত ৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ওই প্রবাসীদের গ্রেফতার করেছে বলে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজ। এতে বলা হয়েছে, আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে ২২ হাজার ৬৩৩ জন প্রবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৮২২ জন অবৈধ প্রবাসীকে ইতোমধ্যে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১৩ হাজার ৭৯৯ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৫ হাজার ৫৯৪ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩ হাজার ২৭০ জন রয়েছেন।
একই সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেফতার হয়েছেন ২ হাজার ১৩৩ জন। গ্রেফতারকৃতদের ৬৩ শতাংশ ইথিওপিয়ান, ৩৬ শতাংশ ইয়েমেনি এবং অন্যান্য দেশের এক শতাংশ নাগরিক রয়েছেন।
এ ছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টা করায় আরো ১৮৪ জন প্রবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটিতে বর্তমানে ৩৮ হাজার ৭৭৭ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৪ হাজার ৭০৮ জন পুরুষ এবং ৪ হাজার ৬৯ জন নারী। এই প্রবাসীদের প্রত্যাবাসন অথবা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ২৯ হাজার ৫১০ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ৩ হাজার ৬৭৮ জনকে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি চলছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
মরু অঞ্চলের দেশ সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের বসবাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।
সূত্র : গালফ নিউজ
কেকে/এএম