সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে বলে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) বিকালে জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের রামপুরা থানার ৯৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে এ সভা আয়োজিত হয়।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম স্বপন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল হাসান টিটু, রামপুরা থানা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল আহমেদ দুলু, সদস্য সচিব আসিব সাত্তার খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ৯৮নং ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ রুহুল আমিন খান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব খোরশেদ আলম অপু। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন রামপুরা থানা যুবদলের নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ডের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।
সভায় যুবদল নেতা শরীফ উদ্দিন জুয়েল বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল ৯৮নং ওয়ার্ড সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে। দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। দেশনায়ক তারেক রহমানের বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে রোড ম্যাপ ঘোষণা করারও দাবি জানান তিনি।
যুবদলের এই নেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করবে। তখনই আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে, জনগণের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি কিন্তু শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা মুক্ত বাংলাদেশ পাইনি। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
যুবদলের নেতাকর্মীদের সর্তক করে জুয়েল বলেন, আওয়ামী প্রেতাত্মারা নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে যুবদলে অনুপ্রবেশ ঘটাতে পারে। আপনাদেরকে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় জনকল্যাণমূলক কাজের ভিতর দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা পুরো দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাঁর প্রেতাত্মাদের ষড়যন্ত্র এখানো থেমে নেই। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে ধ্বংসসহ চক্রান্ত করছে শিল্প প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে সকল বিভেদ ভুলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আওয়ামীলীগ যুবলীগ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এবং তাদের দোসরদের সব ষড়যন্ত্র দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দিতে হবে।
অপর দিকে প্রধান বক্তা সাজ্জাদুল মিরাজ বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ যে অন্যায়–অবিচার সাধারণ মানুষের উপর করেছে, তা বাংলাদেশের মাটিতে আর করতে দেওয়া হবে না। আমরা রাজপথে থেকে স্বৈরাচারের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবো। দেশ গঠনে প্রতিটি নাগরিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে উঠতে পারে। তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনায় সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দখলবাজ, চাঁদাবাজ মুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কেউ যদি দলের নাম ভাঙিয়ে কোন চাঁদাবাজিতে কিংবা কোন অপকর্মে লিপ্ত হয়, তবে তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে। যুবদলে কোন অপকর্ম কারী ও বহিরাগতদের স্থান হবে না।
কেকে/এমআই