ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবীনগর পৌরসভার এক স্টাফের বদলী জনিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র জনতার তোপের মুখে পড়েছেন নবীনগর পৌরসভার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নবীনগর প্রেসক্লাব সম্মুখে উপজেলা পরিষদ রাস্তায় তাকে ঘিরে ধরেন ছাত্র-জনতা।
আওয়ামী দালালদের দৌরাত্ব, মামলা ও বদলি বাণিজ্য, এর প্রতিবাদে ছাত্র জনতার ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি সমবায় মার্কেট থেকে উপজেলা পরিষদ ঘুরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
সূত্র জানায়, নবীনগর পৌরসভার প্রধান সহকারী আব্দুল মোমেনকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মিথ্যা অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভায় বদলি করা হয়।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এর উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এ অফিস আদেশ প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেন, আব্দুল মোমেনের বিরুদ্ধে তারা কোন অভিযোগ দেয়নি। আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে স্টোর কিপার জাহিদুল ইসলামের প্ররোচনায় সাংবাদিক সাইদুল আলম সোরাফ এর তদবিরে মিথ্যা অভিযোগে তাকে বদলি করা হয়। উদ্দেশ্য মোমেনকে সরিয়ে দিয়ে প্রধান সহকারীর চেয়ারে জাহিদকে বসানো।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা তৌহিদুল ইসলাম তপুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইকবাল হোসেন মোল্লা, আশরাফ হোসেন রুবেল, ছাত্রনেতা গোলাম সামদানি হৃদয়, মো. শাহিন, মোহাম্মদ ইউনুস, কামরুল ইসলাম প্রমূখ।
প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী তার গাড়িতে করে অফিসে যাওয়ার সময় রাস্তা ছাত্রদের দখলের থাকায় ইউএনও গাড়ি থেকে নেমে যান। তারপর তাকে ঘিরে ধরেন উত্তেজিত ছাত্র জনতা। এ সময় তারা দালাল চাটুকার ভূমিদুস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা এসময় দাবি তোলেন, মোমেন সাহেব একজন ভালো মানুষ, তিনি হার্টের রোগী তার বদলীর আদেশ বাতিল নতুবা ষড়যন্ত্রকারী জাহিদসহ দুজনকে জনকে বদলি করতে হবে।
নবীনগরের প্রাণকেন্দ্রে কলা বাজার নামে শত কোটি টাকার সরকারি জায়গাটির লীজ বাতিল করে উক্ত স্থানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নবীনগরের ৬ শহীদদের নামে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানান।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরীর ছাত্র-ছানাতেকে আশ্বস্ত করে বলেন, মোমেনের শারীরিক দিক বিবেচনা করে তার বদলীর আদেশ বাতিলের বিষয়টি চেষ্টা করা হবে। আর কলা বাজারের সরকারি জায়গার বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে সকল নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে অভিযুক্ত পৌরসভার স্টোরকিপার জাহিদুল ইসলামকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও কোন জবাব দেননি।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সাইদুল আলম সোরাফ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তো কোন পৌরসভার লোক নই, আমি কোন বদলীর অথরিটি ও নাই, এটা পৌরসভার অভ্যন্তরীণ বিষয় মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ বদলি করেছে, আমাকে অযথা দোষারোপ করা হচ্ছে।
কেকে/ এমএস