বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, এটি এম আজরুল ইসলামকে মিথ্যা মামলা, মিথ্যা সাক্ষী ও ভুয়া আদালতের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বিগত সরকার। দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হওয়ার পর এটিএম আজহারের মুক্তি চেয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। এটি আমাদের চরম দুর্ভাগ্য। হয় এটিএম আজহারকে মুক্তি দিন, না হয় আপনারা বিদায় নিন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহাল ও দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসাবে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরাই বসিয়েছে। অথচ এই সরকারের কারো কারো ভেতরের ভারতের প্রেতাত্মা ভর করেছে। নিজামীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হয়েছে ভারতের কূটচালে। আমরা ভারতকে মানিনা। ভারতের আধিপত্যবাদ কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। বিগত দিনে ভারতের সাথে সম্পাদিত সব চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন অবিলম্বে এটিএম আজহারুলকে মুক্তি না দিলে কক্সবাজার থেকে দিনাজপুর সর্বত্র কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান, উত্তর জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন, মহানগরী নায়েবে আমির মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন, অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি ড. সৈয়দ সরোয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী,উত্তর জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক আলমগীর সরকার, সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ।
দেখা যায়, বিকাল ৩টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই দুপুর ২টা থেকে মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে টাউন হল মাঠে সমবেত হন নেতা-কর্মীরা। ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিপুল সংখ্যক সদস্যও এতে যোগ দেন। মুহূর্তেই পুরো এলাকা মিছিলের নগরীতে রূপ নেয়।
কেকে/ এমএস