৫ আগষ্ট পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার জোর করে ক্ষমতা আকরে ধরে রাখতে প্রতিবেশি দেশের সাথে যেসব চুক্তি সম্পাদন করেছে, সেগুলো পুণমূল্যায়ন করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভার্চুয়াল বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের মানুষের সাথে অপ্রতিবেশির মতো আচরণ করছে। ভারত পানি নিয়ে জাতিসংঘের সব আইন লঙ্ঘন করে উজানের গজল ডোবায় বাঁধ নির্মাণ করে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে আমরা পানির অভাবে ঠিক মতো চাষাবাদ করতে পারি না। আবার বর্ষা মৌসুমে হঠাৎ পানি ছেড়ে দিয়ে সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারী পতিত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বলেছিলেন আমরা ভারতকে যা দিয়েছি ভারত কখনো ভুলবে না। আসলে ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে সেই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলে প্রতিবেশি দেশ তাকে মনে রেখে আশ্রয় দিয়েছে। আসলে আমাদের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসে না, তারা ভালোবাসে পতিত সরকারকে।
তারেক রহমান বলেন, উত্তরাঞ্চলকে মরুকরণ থেকে বাঁচাতে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নাই। আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
এর আগে সকালে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ ‘তিস্তা নদী আমার মা, মরতে আমরা দেবো না’ স্লোগান সম্বলিত ফ্যাস্টুন হাতে নিয়ে সেতু এলাকা থেকে কাউনিয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আন্দোলনকারীরা।
পদযাত্রা শেষে তিস্তা রেলসেতু কাউনিয়া ও লালমনিরহাট প্রান্তে হাজার হাজার মানুষ তিস্তা নদীর হাঁটু পানিতে নামেন। ভারতের পানি আগ্রাসন বন্ধ করা, মরুকরণ থেকে নদী রক্ষায় তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা প্রদান এবং বন্যা ভাঙ্গন থেকে তিস্তাপাড়ের মানুষকে রক্ষায় মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রর্দশন করেন।
কেকে/এএম