খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের পালটা পালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মঙ্গলবার) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তার ফেসবুক পেজে সেই সংঘর্ষের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘KUET এ আজকে যা হয়েছে তার ফল কখনোই ভালো নয়। ছাত্রলীগের বৈশিষ্ট্য আর শেষ পরিণতি থেকে শিক্ষা নিতে না পারলে দিনশেষে অবস্থা ছাত্রলীগের মতোই হবে।’
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ ফেসবুকে পোস্টে লিখেছেন, ‘কুয়েটে ছাত্রদল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ স্টাইলে যে নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদল নিজেদের রাজনৈতিক কবর রচনার পথেই অগ্রসর হলো।’
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা নগর ও জেলা শাখা রাত ৮টায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। অপরদিকে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা রাত ৮টায় একই দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে।
ছাত্ররা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল কমিটি করার উদ্যোগ নিচ্ছিল। এ নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে আজকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ছাত্ররা স্লোগান দেন- ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না; দাবি মোদের একটাই, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই; এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা।
ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এসে সমাবেশ করার উদ্যোগ নেয়। সেখানেই ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া শুরু হয়। যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সংঘর্ষ ক্যাম্পাসের পাশাপাশি কুয়েট সংলগ্ন রোডেও ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কেকে/এজে