চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা বদনপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র মাসুদ হাসান রঞ্জু (২৩) হত্যার মূল রহস্য উন্মোচন ও হত্যার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরকীয়া প্রেম জেনে যাওয়া ও বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় তাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকার করেছে আসামিরা।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দামুড়হুদা বদনপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে হুমায়ূন কবির (৪০) ও একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানা (২৭)
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা জানান, গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেচ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন রঞ্জু। দুপুর গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার পিতা বিকেলে খাবার নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে যান। ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। সন্ধ্যা নামার পরও রঞ্জুর খোঁজ না মেলায় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তল্লাশি শুরু করেন এবং একপর্যায়ে ভুট্টা ক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় রঞ্জুর মরদেহ খুঁজে পান।
পরদিন নিহত রঞ্জুর পিতা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে এবং রাত সাড়ে ১২টার দিকে সন্দেহভাজন হুমায়ুন কবিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন কবির হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি জানান, একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রঞ্জু শাহানাজের মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে যেতেন এবং তাদের সম্পর্কের কথা জেনে স্থানীয়দের জানান। বিষয়টি জানার পর শাহানাজ, হুমায়ুনকে রঞ্জুকে হত্যার প্রস্তাব দেন এবং হুমায়ুন তা মেনে নেন। গত রোববার সকালে ভুট্টা ক্ষেতে সেচ দেওয়ার সময় পরিকল্পনামাফিক রঞ্জুর মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করেন এবং নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য আরও দুটি কোপ দেন। হত্যার পর কোদাল ক্যানেলে ফেলে বাড়ি ফিরে যান।
আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হুমায়ুন কবির।
কেকে/ এমএস