গত বছরের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শহিদ আবু সাঈদের স্মরণে শহিদ আবু সাঈদ বইমেলার উদ্বোধন করেন শহিদ আবু সাঈদের বাবা জনাব মকবুল হোসেন ও শহীদ ফেলানী খাতুনের বাবা জনাব নূর ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩ টায় এ বইমেলার উদ্ভোধন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো এই বইমেলা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী স্বাধীনাতা স্মারক মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের বইমেলায় ৪০টি স্টল অংশ নিচ্ছেন।
পাঁচ দিনব্যাপী বইমেলায় আলোচনা সভা, লেখক-পাঠক আড্ডা, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের আয়োজনও থাকবে। খ্যাতিমান সাংবাদিক দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদারসহ কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীগণ এখানে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। এই বই মেলায় মিডিয়া পাটনার হিসেবে আছে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা ও এখন টেলিভিশন।
শহিদ আবু সাঈদ বইমেলায় উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক, সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. শাহজামান, সদস্যরা হলেন প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম, ড. মো. তানজিউল ইসলাম, সদস্য ড. মো. ফেরদৌস রহমান, ড. মো. মনিরুজ্জামান, জনাব মো. আব্দুল্লাহ-আল-মাহবুব, জনাব মোছহ সিরাজাম মুনিরা, ত্বহা হুসাইন, মিডিয়া ব্যবস্থাপনার উপকমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও লেখক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী বলেন, শহিদ আবু সাঈদের আত্মাহুতির মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে এই বইমেলা বাংলাদেশমুখী সাংস্কৃতিক অভিযাত্রার সূচনা করবে। প্রতিবছর এই বইমেলার মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি গোটা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
তিনি আরো বলেন, বইপড়ার অভ্যাস ও লেখক-পাঠক সৃষ্টিতে এই বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সময় ও দূরত্বের কারণে যাদের ঢাকার অমর একুশে বইমেলায় যাওয়া সম্ভব হয়না, তাদের জন্য বই কেনা ও পড়ায় বড় সুযোগ তৈরি করবে শহিদ আবু সাঈদ বইমেলা। এবছর স্বল্প সময়ে বইমেলার আয়োজন করা হলেও আগামীতে দীর্ঘ সময়ব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা হবে।
কেকে/ এমএস