কক্সবাজারের ফাঁসিয়াখালীতে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে ৮টি পলিথিনের ঘর উচ্ছেদ করে ৫ একর বনের জায়গা জবরদখল মুক্ত ও ৪৪ গজ জিআই তারসহ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফ্রেরুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতারবিল মৌজার ফতিহার ঘোনায় রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে বিট কর্মকর্তা খশরুল আমিন, রেঞ্জের স্টাফ, সিপিজি ও ভিলেজার সদস্যদের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বন বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে অভিযান পরিচালনা করে ৮টি পলিথিনের ঘর ভেঙে উচ্ছেদ দেওয়া হয় এবং আনুমানিক ৫ একর জায়গা জবরদখল মুক্ত হয় এবং আনুমানিক ৪৪ গজ জিআই তারসহ পলিথিন জব্দ করা হয় বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতারবিল মৌজার ফতিহারঘোনা এলাকায় বন বিভাগের জায়গা দখল করে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকের নেতৃত্বে রাতারাতি বেশকিছু ঘর নির্মাণ পূর্বক জায়গা দখল করে ঘেরাবেড়া দেয়। এ ছাড়াও বনের ভেতরের চাষযোগ্য বিপুল পরিমাণ জায়গাতে অবৈধভাবে তামাক ক্ষেতের চাষাবাদ করেন।
মূলত স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় অবৈধ দখলদার হিসেবে বন বিভাগের জায়গা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন এসব ভূমি দস্যুরা। বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এসব জায়গা টিকিয়ে রাখা কখনো সম্ভব হবে না বলে তারা দাবি করেন।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৮টি ঝুপড়ি ঘর উচ্ছেদ করে বনভূমি দখলবাজদের কবল থেকে প্রায় ৫ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৪৪ গজ জিআই তার জব্দ করা হয়েছে। বন, বন্যপ্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বন বিভাগের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। আজকে (বুধবার) এই অভিযানের একটি অংশ। যতদিন আছি ততদিন অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। এবং বন্যহাতি যেন কারেন্ট ফাঁদ থেকে রক্ষা পায় এবং মৃত্যু যেন ঠেকাতে পারি তা নজরে রেখে প্রতিদিন আমাদের টিম টহলরত আছে।
বন আইনে পরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বন অপরাধ রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা চলমান থাকবে। অভিযানে রেঞ্জের স্টাফ, সিপিজি ও ভিলেজারসহ স্টাফগণ উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এএস