কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রাতের আধারে ম্যানেজারকে গুলি করে বালু ঘাটের টোল বক্সের ক্যাশ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এসময় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাত ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গড়াই নদের সেতুর নিচে এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ সেতু ম্যানেজারের মো. সবুজ(৩৫)। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি এলাকার শহিদুলের ছেলে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী রাকিবুল ইসলাম জানান, রাতে চার-পাঁচটা মোটরসাইকেল নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রধারীরা বালুর ঘাটে এসে শ্রমিকদের মারধর শুরু করে। এরপর টোল বক্সের ক্যাশ থেকে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় শ্রমিকরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ম্যানেজার সবুজের পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে টাকা ছিনতাই করে নেয়। এরপরে এলোপাথাড়ি বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে চলে যায় তারা। সকলের কাছে ওপেন অস্ত্র ছিল এবং সেগুলো সব ভারি ভারি অস্ত্র। প্রত্যেকেই মুখোশধারী ছিলো বলে কাউকেই চেনা যায়নি।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুন মাসে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা টেন্ডারের মাধ্যমে গড়াই নদের ড্রেজারকৃত বালু অপসারণের কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রিয়াংকা ব্রিকস। ২০২৫ সালের জানুয়ারী মাস থেকে এই বালু অপসারণের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ মো. সবুজ বলেন, সবার মুখ বাধা ছিল। তারা এসেই মারধর শুরু করে। আমার পায়ের পাতায় গুলি করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ১০টা ৫২ মিনিটে কাশেমপুরের দিক থেকে ১১জন সশস্ত্র মুখোশধারী গুলি ছুড়তে ছুড়তে সৈয়দ মাছ উদ রুমী সেতুর নিচ দিয়ে বালু ঘাটের টোল বক্সের দিকে আসে। তাদের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। এরপর টোল বক্সের সামনে অবস্থিত শ্রমিকদের ও ম্যানেজার সবুজকে মারধর করতে দেখা যায়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ঠিকাদারের একজন পার্টনার জানান, দেড় থেকে দু্ই লাখ টাকা নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। শুনেছি বালু ঘাটে দুর্বৃত্তদের গুলিতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ছিনতাই করার জন্য দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগ পেলে আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
কেকে/ এমএস