নোয়াখালীর চাটখিল প্রেস ক্লাবের সঙ্গে জড়িত পূর্বশিখা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক যায়যায় কাল পত্রিকার চাটখিল প্রতিনিধি মো. আলমগীর হোসেন হিরু ও দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের চাটখিল প্রতিনিধি রফিকুজ্জামানকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ব্যাপারে তারা নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের কাছে মামলার অভিযোগের বিবরণ দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য পৃথক পৃথক আবেদন করেছেন।
আলমগীর হোসেন হিরুর অভিযোগে জানা যায়, তিনি গত (১৮ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিউজ সংগ্রহের জন্য কয়েকজন সাংবাদিক এবং তৎকালীন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিমসহ উপজেলার হালিমা দীঘির পাড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যান।
তথ্য সংগ্রহ শেষে তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন। এই ঘটনার ৮ মাস পর ছয়ানী টবগা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে শিবিরকর্মী ফরহাদুল ইসলাম (২৩) তাকে সহ ৭২ জনকে আসামি করে (৬ ফেব্রুয়ারি) মামলা দায়ের করে। মামলা নং সিআর ৫৫-২০২৫। তিনি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন।
অপরদিকে চাটখিল বাজারের টাইলস্ ব্যবসায়ী দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের চাটখিল প্রতিনিধি রফিকুজ্জামানের জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত আবেদনে জানা যায়, গত (২৪ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর উপজেলার বানসা বাজারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মহড়া দেয়।
এ সময়ে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ১৬দিন পর পৌর পরিবহন শ্রমিক দলের নেতা মাসুদ আলম বাদী হয়ে ৮৪জনকে আসামি করে চাটখিল থানায় মামলা দায়ের করেন।
আবেদনে তিনি বলেন, এই ঘটনার সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। কোন বিশেষ মহল আমার ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে আমাকে এই মামলার আসামি করা হয়েছে। আমি এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চাই।
কেকে/এএস