সাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় দিগন্ত পরিবহনের ১২ জন যাত্রী আহত ও গাড়ির হেলপার শাহাদত হোসেন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টায় সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউস মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মাজাট গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের বাহার আলী তরফদারের ছেলে আব্দুর রউফ, দেবহাটা উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের তারক চন্দ্র ঘোষের ছেলে তপন ঘোষ, কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের বাহার আলীর ছেলে রুহুল আমিন, একই উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আশরাফ আলী গাজীর ছেলে শাহীনুর রহমান।
এ ছাড়া চায়না ও আব্দুল্লাহ নামে দুইজনের ঠিকানা জানা যায়নি। প্রথম পাঁচজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও শেষের দুজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তপন কুমার ঘোষ জানান, তিনি বুধবার সকালে ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য জন্য ঢাকার যমুনা ফিউসার পার্কে যান। সেখান থেকে কাজ মিটিয়ে রাতে ঢাকা থেকে নাভারণগামী একটি পরিবহনে যশোরের চাঁচড়ায় নামেন। সেখান থেকে সাতক্ষীরাগামী দিগন্ত পরিবহনে ওঠেন। ঘুম লাগার কারণে নাভারণ ছাড়ার পর চালক বারবার ব্রেক করছিলেন।
পরিবহনটি বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউস মোড়ে পৌঁছালে ঘুমের কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরিবহনটিকে আশা সমিতির পাশে একটি সৃষ্টিফুল গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা মারেন। এতে ওই গাছটি পরিবহনের সামনে ঢুকে যায়। পরিবহনটি দুমড়েমুচড়ে গেলে তিনি ও হেলপারসহ কমপক্ষে ১৩ যাত্রী আহত হন। পরিবহনে ৪০ থেকে ৪৫ জন যাত্রী ছিল বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল হক জানান, আশঙ্কাজনক হওয়ায় চায়না ও আলমগীরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে গাছ কেটে যাত্রীদের বের করার সময় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল নায়েব আলী আহত হন। এ ঘটনায় হেলপার শাহাদাত নিহত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, দুর্ঘটনায় গাড়ীর হেলপার নিহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
কেকে/এএস