প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৩৫ পিএম (ভিজিটর : ৬৫)

ছবি: খোলা কাগজ
খসে পড়েছে ছাদের ঢালাই, নষ্ট হয়ে গেছে ব্যবহৃত রড। রুমের পলেস্তারা খসে ইট বের হয়ে গেছে অনেক জায়গায়, ছাদের পলেস্তারা ও ঢালাই ভেঙে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে চোখে পড়ছে বড় বড় ফাটল। এমন জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে দিনাজপুরের খানসামা থানার কার্যক্রম।
সাধারণ জনগণের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিকভাবে যে পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করে থাকে অথচ তারাই জীবনের আতঙ্কের মধ্যে থানা ভবনে কাজ করছে। ভূমিকম্প কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৮৯১ সালে ব্রিটিশ শাসন আমলে এই থানার একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আশির দশকে নির্মাণ করা হয় বর্তমান ভবনটি। তবে কালের পরিক্রমায় এখন সে ভবনটিও রয়েছে জরাজীর্ণ। দিন-রাত জনগণের নিরাপত্তা দিয়ে একটু শান্তিতেও ব্যারাকে ঘুমাতে পারছেন না থানার পুলিশ সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাইরে থেকে ফিটফাট মনে হলেও ভিতরের বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। দুতলা বিশিষ্ট থানার এই ভবনটিতে ওসি (তদন্ত) এর কক্ষ, সিঁড়ি বেয়ে দোতালায় উঠতেই বড় ফাটল। প্রায় সব দেয়াল স্যাঁতস্যাঁতে। এছাড়াও অফিসাররা যেসব কক্ষে বসে কাজ করছেন সেখানের ছাদের ঢালাই ভেঙে রড বের হয়েছে।
থানায় সেবা নিতে আসা আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের থানার অবকাঠামো অবস্থা খুবই খারাপ। বাইরে থেকে চক চক করলেও ভিতরের অবস্থা নাজেহাল। আমি চাই দ্রুত এই থানা ঠিক করা হোক।
আরেক সেবা নিতে আসা ব্যক্তি ওবাইদুর রহমান বলেন, আমি অনেকবার এই থানায় এসেছি। ভবনগুলো এখনো ঠিক হয়নি। ভয়ে থাকি, না জানি কখন ভেঙে যায়।
খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমূল হক বলেন, বর্তমানে ভবনের অবস্থা নাজেহাল। বিভিন্ন স্থানে ফেটে গেছে, সিঁড়ি দিয়ে উঠার জায়গাগুলো নষ্ট হয়ে ফেটে গেছে এছাড়াও ভবনের অনেক পিলার নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো দ্রুতই মেরামত করা দরকার, নতুন ভবন তৈরি করতে পারলে ভালো হতো, যদি সম্ভব না হয়, এই ভবনটি অতিদ্রুত মেরামত করা দরকার। অফিসার্স ফোর্সের জন্য কোন ডরমেটরি অথবা কোয়ার্টার নেই। এটাও খুবই প্রয়োজন।
দিনাজপুর জেলা নবাগত পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন মারুফ বলেন, আমি সবেমাত্র এসেছি। এসেই দুটি থানা পরিদর্শন করেছি। খানসামা থানা জরাজীর্ণ কিনা তা সরজমিনে গিয়ে দেখতে হবে। আমি দু-একদিনের মধ্যে এই থানা পরিদর্শন করব।
কেকে/এএস