বেসরকারি পাবলিক পরিবহন রাইদার রোড পারমিট বাতিল ও চালকদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় উত্তরার হাউজ বিল্ডিং নর্থ টাওয়ারের সামনে এই মানববন্ধন করে ভুক্তভোগীর পরিবার ও উত্তরার সুশীল সমাজ। এ সময় প্রায় ২০ মিনিট ধরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক বন্ধ রাখা হয়।
মানববন্ধনে নিহতের স্বামী আব্দুল গনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার স্ত্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমি এই হত্যার বিচার চাই।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ছাত্র সমন্বয়করা বলেন, বেপরোয়া এই রাইদা পরিবহন গত ১০ বছর যাবত আবাসিক এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ড্রাইভারদের লাইসেন্স নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ফিটনেসবিহীন এসব গাড়ির পাল্লাপাল্লিতে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানাবীধ দুর্ঘটনা। ১৮ তারিখের ঘটনাটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা বলে আমরা মনে করছি।
কারণ হিসেবে তারা বলেন, পরিবহন চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রথম গাড়িটি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পর দ্বিতীয় গাড়িটি তার মাথার ওপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয়। তাতে করে মাথা থেতলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আমরা চাই এই পরিবহন কোম্পানির রুট পারমিট বাতিল করা হোক, সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরসহ কোম্পানির এমডি এবং চেয়ারম্যানদের আইনের আওতায় আনা হোক। ঘাতক চালকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না হলে সড়কের তাজা প্রাণ ঝরে যাওয়া কখনোই কমবে না বলে মন্তব্য করেন ছাত্রজনতা।
এ বিষয়ে রাইদা পরিবহন লি. ম্যানেজিং ডিরেক্টর মকবুল পাটোয়ারী দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, আমি একটু বাইরে ছিলাম ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে পরিবহন মালিকদের সাথে কথা চলমান রয়েছে। এ সকল পরিবহন ড্রাইভার এবং হেলপারদের নিয়ে কাউন্সিলিং করছি। গত ১৫ দিন আগেও আফতাবনগরে অন্তত ২ শত পরিবহন চালক এবং হেলপারদের নিয়ে কাউন্সিলের আয়োজন করি।
এই পরিবহন চালকদের কাছে মালিক এবং সমিতি জিম্মি হয়ে আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টায় উত্তরা ১১নং সেক্টরের জমজম টাওয়ারের বিপরিতে বিক্রমপুর মিষ্টির দোকানের সামনে রাইদা পরিবহনের দুই গাড়ির চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই গেদেজা বেগম (৫৪) নামে এক নারী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারে উল্লিখিত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
কেকে/এএম