কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার স্মৃতি বিজড়িত প্রথম ডাকঘরটির পাশে ভূমি অফিস সংলগ্ন স্থানে দেখা মিলবে অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা উপজেলার প্রথম শহিদ মিনারটি। ১৯৬৯ সালে ভাষা শহীদদের স্মরণে স্থাপিত হয় এই শহীদ মিনারটি।
স্থানীয় সাধারণ জনগণের অভিযোগ , একসময় এই শহিদ মিনারটি রৌমারীবাসীর একমাত্র শহিদ মিনার হলেও এখন অযত্ন অবহেলায় সারা বছরই অরক্ষিত থাকে শ্রদ্ধার এই স্থানটি। এমনকি ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ও এর কোন মর্যাদা বা পবিত্রতা রক্ষা করা হয় না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খোদ সহকারি কমিশনার ভূমির কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত শহিদ মিনারটির চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ময়লা আবর্জনা সিগারেটের প্যাকেটসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ ,মিনারের পাশেই প্রশ্রাব করছেন অনেকে। গন্ধে প্রায় দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
তৎকালীন শহিদ মিনারটি তৈরিতে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুজ্জামান (৮০) বলেন, আমি যখন সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ওই সময় ইয়াহিয়ার সামরিক আইন চালু থাকায় আমরা রাতের আঁধারে আমি, এসকে মজিদ মুকুল , আব্দুর রাজ্জাক, মিজানুর রহমান, গাজী, ফজলু মিয়া সহ আরো অনেকে মিলে ভাষা শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনারটি নির্মাণ করি, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে উৎসাহ যোগায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আরো বলেন, যেহেতু এই শহিদ মিনারটি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম একটি শহিদ মিনার তাই শহিদ মিনারটি অযত্নে অবহেলায় না রেখে রক্ষণাবেক্ষণের জোর দাবি জানাচ্ছি ।
ইউপি সদস্য তুহিন মেম্বার বলেন, ১৯৬৯ সালে শহিদ মিনারটি স্থাপন হলেও আশেপাশে যে ময়লা আবর্জনা দেখতে পাচ্ছি, তা ভাষা শহিদদের প্রতি অসম্মান, প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অতি দ্রুত শহিদ মিনহাটি সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য।
শহিদ মিনারটি রক্ষণাবেক্ষণ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, ভাষা আন্দোলনেই আমাদের স্বাধীনতার মূল শক্তি, শহিদ মিনারটি রক্ষণাবেক্ষণে জন্য অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/ এমএস