দিনাজপুরে প্রথমবারের মতো ডাকটিকিট প্রদর্শিত হয়েছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে উক্ত ডাকটিকিটের উদ্বোধন করেন অত্র অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্ল্যা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম শিকদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক অধিদপ্তরের (স্টাম্পস) পরিচালক কাজী মামুনুর রশিদ, হাবিপ্রবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম জাহাঙ্গীর কবির, হাবিপ্রবি প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামছুজ্জোহা, হাবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস এম এমদাদুল হাসান, রাজশাহী উত্তরাঞ্চলের অতিরিক্ত পোস্ট মাস্টার জেনারেল ড. মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফোকলোর বিভাগের প্রফেসর ড. উদয় শঙ্কর বিশ্বাস এবং দিনাজপুর ডাকঘরের (১ম শ্রেণির) পোস্টমাস্টার মো.জাহেরুল হক।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (দিনাজপুর) মো. রশিদুল হাসান।
প্রায় আট সহস্রাধিক ডাকটিকিট, পোস্টকার্ড, স্যুভেনির, বিশেষ খাম, উদ্বোধনী খাম প্রদর্শন করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধ বিষয়াবলির পাশাপাশি বাংলাদেশের ফুল, পশুপাখি, মাছ, লোকসংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন উৎসব, পোশাক, অলিম্পিকসহ বিভিন্ন খেলাধুলা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ, সমাজ সংস্কারে অবদান রাখা বিশেষভাবে স্বীকৃত ব্যক্তির ছবিসংবলিত ডাকটিকিট রয়েছে। বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে উদ্বোধনী খাম, বিশেষ খাম, বিভিন্ন স্মারক ডাকটিকিট ও পোস্টকার্ড।
এ ডাকটিকিট দেখতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক এবং বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষেরা এসেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ডাক বিভাগ ও বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটি এই ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য হাবিপ্রবি উপাচার্য এনামউল্ল্যা বলেন, ডাকটিকিট একটা নস্টালজিক বিষয়। আমরা যারা ডাকটিকিট ব্যাবহার করেছি সকলেই সেই স্মৃতিটি বহন করি। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও ডাকটিকিট সংগ্রহ করে। ডাকটিকিট আমাদের ঐতিহ্য বহন করে।সেখানে বিভিন্ন রকমের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরা হতো।ডাকটিকিট একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
কেকে/ এমএস