চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় উদ্ধারকৃত ৬ টি ককটেল কেরু চিনকলের পুকুর পাড়ে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে। এ সময় পুরো শহর ও আশপাশ এলাকা বিস্ফোরনের শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
দর্শনা থানা পুলিশ জানায়, (বৃহস্পতিবার) সকালে দর্শনা পৌরসভার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের রুবেল হোসেনের বাড়ির পাস থাকে ২টি এবং পার্শ্ববর্তী আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঝেরপাড়া মসজিদের পিছনে ৪ টি মোট ৬ টি ককটেল দেখা মেলে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সারাদিনব্যাপী ককটেল গুলো সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার দিন রাতে রাজশাহী র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়নের- ৫ ইউনিটের বোম নিষ্ক্রিয় দলকে খবর দেয়া হয়। পরে শুক্রবার ভোর ৪ টার দিকে কেরু চিনিকলের পুকুরপাড়ে ৬ টি ককটেল নিস্ক্রিয় করা হয়।
দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানান, এ বিষয়ে দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে রুবেল হোসেন বাদি হয়ে একটি মামলা করেছে। এ ঘটনায় সন্দেহ ভাজন দর্শনা পৌরসভার দঃচাদপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আলিহিম হোসেন (৫০) কে আটক পুর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, বাকি আসামী ধরার চেস্টা করছি।
চুয়াডাঙ্গা সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা- জীবননগর সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা জানান, ‘ঘটনা তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা নেয়া হবে, অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।’
উল্লেখ্য গত ১৩, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি দর্শনা কেরু চিনিকল এলাকা থেকে পৃথক পৃথক ভাবে ৬ টি ককটেল উদ্ধার করে রাজশাহী র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নের -৫ ইউনিটের ও যশোর সেনানীবাসের ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের বোম ডিসপোজাল ইউনিট তা নিস্ক্রিয় করেছিল। সে বিষয়েও কেরু চিনিকল কতৃপক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছিল। শিল্প ও সীমান্ত শহর দর্শনায় বর্তমানে বোমা/ককটেল আতংক বিরাজ করছে।
কেকে/ এমএস