গাজীপুরের টঙ্গীতে তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফজলে রাব্বি সিফাতের ওপর হামলার বিচার এবং নিরাপত্তার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি বলেন, জুলাই গনঅভ্যুত্থানে একজন ছাত্র হিসেবে সরাসরি অংশগ্রহন করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদলের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারই সহপাঠী স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী ভুঁইয়া মামুন তার দলবল নিয়ে বাঁসপট্টি এলাকায় ডেকে নিয়ে সিফাতের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা সিফাতকে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করে। এসময় তার জোরপূর্বক তার কাছ থেকে ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ততা নেই মর্মে ভিডিও বক্তব্য ধারণ করে।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করলে সহপাঠীরা তাকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আইনি পদক্ষেপ ও নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি টঙ্গী পশ্চিম থানায় যান। ঘটনাস্থল টঙ্গী পূর্ব থানায় হওয়ায় পুলিশ তাদেরকে পূর্ব থানায় প্রেরন করেন।পূর্ব থানায় যাওয়ার পথে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়ির গতিরোধ করে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার লক্ষ্যে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রদল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মত আচরণ করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আবার আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এঘটনায় আমি মামলা করেছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এসময় সিফাতের সহপাঠী ও ছাত্রশিবিরের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএস