বান্দরবানের লামা উপজেলায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর রাবার শ্রমিক অপহরণের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে আর এই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ৪জানুয়ারী বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের হিলটপ এগ্রো রাবার বাগানের কেয়ার টেকার হাসমত আলী, ১৫ জানুয়ারী সরই ইউনিয়নের বমু খাল নামক এলাকার ৩টি খামার বাড়ী থেকে ৭ জন তামাক শ্রমিক, ২ ফেব্রুয়ারি কমলা বাগান পাড়া থেকে ৭জন শ্রমিক এবং সর্বশেষ গত ১৬ফেব্রুয়ারি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ম্রো ঝিরি এলাকার ৫টি রাবার বাগান থেকে অপহরণকারীরা ২৩জন রাবার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। প্রত্যেকটি ঘটনায় অপহরণকারীরা অপহৃত ভিকটিমদের জিম্মি করে তাদের পরিবারের নিকট থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহৃতদের মুক্তি দেয়।
পুলিশ আরো জানায় , ধারাবাহিক এই অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। প্রত্যেকটি ঘটনার পর থেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পুলিশ অপহৃত ভিকটিমদের উদ্ধার, ঘটনার রহস্য উদঘাটন, আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ বান্দরবানের লামা এবং সদরের বিভিন্নস্থান থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৪আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো বান্দরবানের থানচি উপজেলার বাসিন্দা শিমন ত্রিপুরা, জ্যাকসন ত্রিপুরা, লামা উপজেলার বাসিন্দা জয়ন্ত ত্রিপুরা, রোয়াংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা প্রশান্ত ত্রিপুরা।
আসামীদের হেফাজত থেকে মুক্তিপণের টাকা গ্রহণের নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সিম, ৭ টি মোবাইল ফোন, ২ টি মোটর সাইকেল, ১ টি টর্চ লাইট, ১ টি চার্জার হেডলাইট জব্দ করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপ্স) আবদুল করিম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের কয়েকজন ইতিপূর্বে রাবার বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করত, সে সুবাদে ঘটনাস্থল রাবার বাগান এলাকা তাদের পরিচিত। গ্রেফতারকৃত আসামীরা এবং তাদের সহযোগী পলাতক অন্যান্য আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
কেকে/ এমএস