সারাদেশে চলমান নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মশাল মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় নোবিপ্রবির শহীদ মিনারের সামনে থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়।
পরবর্তীতে, নোবিপ্রবির সকল হলের সম্মুখে হয়ে মিছিল পূনরায় শহীদ মিনার আসলে সেখানে শিক্ষার্থীরা বক্তব্য প্রদান করে। মূলত, ঢাকা-রাজশাহী রুটে মধ্যরাতে ডাকাতির শিকার হওয়া বাস প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতদের দখলে থাকার পর নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরই প্রতিবাদ স্বরুপ শিক্ষার্থীরা এ মশাল মিছিল করে৷
মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। ‘লজ্জা লজ্জা, ইন্টেরিম লজ্জা’,‘ফাসি চাই, ফাসি চাই ধর্ষকের ফাসি চাই’, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা চলবে না,চলবে না’, ‘আর কোন দাবি নাই,ধর্ষকের বিচার চাই’,‘ধর্ষকের বিচার কি? ফাসি ছাড়া আর কি?’,‘একশন টু একশন ডাইরেক্ট একশন’,‘নোবিপ্রবির একশন ডাইরেক্ট একশন’,‘ নারীর প্রতি নিপীড়ন আর না আর না’,‘জবাব চাই জবাব চাই,ইন্টেরিম জবাব চাই’ ইত্যাদি।
মশাল মিছিলে এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি নারীর প্রতি যে সহিংসতা ও নিপীড়ন নির্যাতন হচ্ছে এবং সারা বাংলাদেশব্যাপী যে অরাজক অবস্থা বিরাজমান হচ্ছে তা নিয়ে। বর্তমান এই ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট এর প্রতি আমরা ক্ষুব্ধ এবং তাদের ছয় মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে এ সময় তাদের বর্তমান কার্যকলাপের প্রতি আমরা আশাহত। আমরা ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে একটি দেশ পেয়েছি, যেখানে আমাদের কথা শুনা হবে, আমাদের যে নির্যাতিত আওয়াজ শুনবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু ঢাকা-রাজশাহী রুটে মধ্যরাতে ডাকাতির শিকার হওয়া বাস প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতদের দখলে থাকার পর নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর আমাদের পুরুষ সমাজ তখনো ঘুমিয়ে ছিল, এখনো ঘুমিয়ে আছে। দুইদিন হয়ে গেলে এই ঘটনায় ৩ জন জামিনও পায়। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী তাদের থেকে আমরা এটা আশা করিনি।
তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের বড় একটা অংশে ছিলাম আমরা নারী। পহেলা জুলাই শুরু হওয়া আন্দোলন যখন ঝিমিয়ে পড়েছিল তখন তনুর ছবিটাই সবাইকে আকৃষ্ট করে আন্দোলনের প্রতি। কিন্তু আজকের এই অবস্থায় আগে কি পরে কি নারীরা যদি সেফ ফিল না করি তাহলে এ আন্দোলন এখনো সফল নয়।
কেকে/ এমএস