রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফেরদৌসী বেগম (৫৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিকে উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌসী তিয়াড়কুড়ি গ্রামের জব্বারের স্ত্রী।
আহতরা হলেন, সাইদুল ইসলাম, জব্বার আলী, পচাই, আলম, মিরা, জিন্নাত আলী। তবে জিন্নাত আলী(৪০) আতঙ্কজনক অবস্থায় রামেক এ ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষ্মীপুর গ্রামের বিএনপিকর্মী মামুনের সঙ্গে একই গ্রামের দেলুয়াবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজুর ইসলাম ওরফে রেন্টুর সঙ্গে বিএনপিকর্মী মামুনের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামুন ও চেয়ারম্যানের অনুসারীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে রিয়াজুল ও মামুনের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে চেয়ারম্যান রিয়াজুরের পক্ষের জব্বারের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নিহত হন। এবং অপর পক্ষের মামুন, তার ছেলে জাহিদ, তার মা আহত হন।
খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফেরদৌসকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রামেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুরুল হুদা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নারী নিহতের ঘটনায় মামুন ও তার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। উভয়পক্ষে মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
কেকে/এএস