চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৫১ রান তুলে টুর্নামেন্টটিতে দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইতিহাস গড়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু জস ইংলিশের সেঞ্চুরির কাছে ম্লান হয়ে গেল বেন ডাকেটের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি। দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার পরও হারার লজ্জার রেকর্ডের সঙ্গী হলো জশ বাটলারের দল।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেন ডাকেটের ১৬৫, জো রুটের ৬৮ ও শেষ দিকে আর্চারের ১০ বলে ২১ রানের ছোট ক্যামিওতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
জবাবে অস্ট্রেলিয়া জস ইংলিশের অপরাজিত ১২০, ম্যাথু শর্টের ৬৩, অ্যালেক্স ক্যারির ৬৯, মার্নাস লাবুশানের ৪৭ ও ম্যাক্সওয়েলের ১৫ বলে ৩২ রানের ক্যামিওতে ৫ উইকেট ও ১৫ বল বাকি থাকতে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এটি ছিল ২৭ ওয়ানডেতে জস ইংলিশের প্রথম সেঞ্চুরি।
ইংল্যান্ডের দেয়া পাহাড়সম রান টপকাতে গিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। স্কোরবোর্ডে ২৭ রান যোগ করতেই বিদায় নেন ট্রাভিস হেড ও অধিনায়ক স্মিথ। হেড ৬ ও স্মিথ ৫ রান করেন। তৃতীয় উইকেটে লাবুশানকে সঙ্গে নিয়ে শর্ট ৯৫ রানের জুটি গড়ে শুরু ধাক্কা সামাল দেন। দলীয় ১২২ রানে লাবুশানে ৪৫ বলে ৪৭ রান করে আদিল রশিদের শিকারে পরিণত হন। এরপর ১৪ রান যোগ করতেই ওপেনার ম্যাথু শর্টকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। তার আগে শর্ট ৬৬ বলে ১ ছক্কা ও ৯ চারে ৬৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন।
পঞ্চম উইকেটে ১৪৬ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচ কেড়ে নেন ইংলিশ ও অ্যালেক্স ক্যারি। দলীয় ২৮২ রানে ক্যারি ৬৩ বলে ৬৯ রান করে কার্সের শিকারে পরিণত হলে ভাঙে জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে আর উইকেট পড়তে না দিয়ে বাকি কাজ সারেন ইংলিশ ও অভিজ্ঞ ম্যাক্সওয়েল। ইংলিশ ৮৬ বলে ৬ ছক্কা ও ৮ চারে অপরাজিত ১২০ রান ও ম্যাক্সওয়েল ১৫ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে অপরাজিত ৩২ রানে ক্যামিও ইনিংস খেলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে উড, আর্চার, কার্স, রশিদ ও লিভিংস্টোন প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। দলীয় ১৩ রানে ফিল সল্টকে ক্যারির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ডারসুইস। দলীয় ৪৩ রানে জেমি স্মিথকে ফেরান অ্যাডাম জাম্পা। তৃতীয় উইকেটে এসে জো রুট ও ডাকেট মিলে গড়েন ১৫৮ রানের জুটি। এতে করে ম্যাচে যে ইংল্যান্ড রানের পাহাড় দাঁড় করাবে তা অনুমান করা যায়। দলীয় ২০১ রানে রুটকে এলবির ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন জাম্পা। বিদায়ের আগে অবশ্য রুট ৭৯ বলে ৪ চারে ৬৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন।
চতুর্থ উইকেটে ১৮ রান যোগ করতেই বিদায় নেন হ্যারি ব্রুক। তাকে ফেরান জাম্পা। ম্যাচে এটি ছিল জাম্পার দ্বিতীয় উইকেট। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক বাটলারকে নিয়ে ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন ডাকেট। দলীয় ২৮০ রানে ব্যক্তিগত ২৩ রান করে বিদায় নেন বাটলার। এরপর ৩১৬ রানে লিয়াম লিভিংস্টোন ও ৩২২ রানে বেন ডাকেট বিদায় নেন। বিদায়ের আগে ডাকেন ১৪৩ বলে ৩ ছয় ও ১৭ চারে ১৬৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন।
শেষ দিকে জোফরা আর্চারের ১০ বলে ২১ রানে ছোট্ট ক্যামিং ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩৫১ করতে সহায়তা করে। ম্যাচে বেন ডারসুইস ৩টি, জাম্পা ও লাবুশানে ২টি করে এবং ম্যাক্সওয়েল একটি উইকেট লাভ করেন।
কেকে/ এমএস