রাজধানী মোহাম্মদপুর টাউল হল কাঁচা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান (বাবুল) ও আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নূরনবী ভূঁইয়া সহ ও জাতীয় পার্টির দোসরদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীগণ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মোহাম্মদপুর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হলে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে সভা শেষ হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, বিগত ৩টি আওয়ামী লীগের অবৈধ নির্বাচনে ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার অর্থের যোগান দাতা রাজধানী মোহাম্মদপুর টাউল হল কাঁচা বাজার বণিক সমিতির ভূয়া ভোটের সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান (বাবুল), আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নূরনবী ভূঁইয়া সহ ও জাতীয় পার্টির দোসরদের বিচারের দাবি করছি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাউল হল কাঁচা বাজার বণিক সমিতি থেকে পদত্যাগ করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন এই আন্দোলনকারীরা।
নেতারা বলেন, টাউল হল কাঁচা বাজার বণিক সমিতির ভূয়া ভোটের সভাপতি হয়ে সে কীভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে জনগণ জানতে চায়। তার সকল অবৈধ সম্পদ জব্দ করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার দাবি জানান বক্তারা।
এ সময় বক্তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট মোঃ লুৎফর রহমান (বাবুল), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নূরনবী ভূঁইয়া সহ ও জাতীয় পার্টির দোসরদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই বাবুল টাউন হল কাঁচা বাজার বর্ণিক সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন প্রায় এক যুগের বেশি সময়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে টাউন হল সিটি কর্পোরেশনের ৪ শত দোকান রয়েছে এর মধ্যে নিজের একক ক্ষমতায় ২০ থেকে ৩০ টি দোকান বিক্রি করে দেয়। স্থানীয়রা বলেন, যখন যে সরকার থাকে তারই দোসর হয়ে কাজ করে এই বাবুল। বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাথেও ছিলো দহরমমহরম তার নির্বাচনের সময়ও মার্কেট থেকে টাকা তুলে নির্বাচনে খরচ করে।
মোহাম্মদপুর এলাকার বিএনপির নেতারা বলেন, তার মালিকানাধীন জান্নাত হোটেল থেকে ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে ছিলেন, এই আওয়ামী লীগের দোসর আর এক মূহুর্তেও বর্ণিক সমিতির সভাপতি থাকতে পারবে না। বাবুলের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে, টাউন হল সিটি কর্পোরেশন থেকে যে পরিমাণ চাঁদা উঠে সেই চাঁদার টাকা কাউকে হিসাব না দিয়ে নিজের মতো করে এই এক যুগ ধরে চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কেট থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ রয়েছে এই বাবুলের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে লুৎফর রহমান বাবুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার মার্কেটে কিছু নেতারা চাঁদা চাইতে এসে ছিলো সেই চাঁদা না দেওয়ার কারণে আজকে আমার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। এই মার্কেটে আমি নির্বাচিত সভাপতি। আমি কোনো চাঁদা দিবো না বলে আমার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। তবে আমার বিরুদ্ধে সে সকল অভিযোগ এনেছে এগুলো সম্পূর্ণ অসত্য।
নিজাম উদ্দিন প্রতিনিধি মোহাম্মদপুর ঢাকা।