দনিয়া কলেজে ‘ঐ নূতনের কেতন ওড়ে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে একাদশ শ্রেণির নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫ সম্পন্ন হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীদের কলেজ পরিবারে স্বাগত জানানো হয় এবং তাদের মাঝে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। এই যুগের চাহিদা ও সম্ভাবনাকে সামনে রেখে দনিয়া কলেজকে তার ঐতিহ্যবাহী গৌরবময় অবস্থানে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, গবেষণা এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে হবে, যাতে তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের মেধা ও দক্ষতার সাক্ষর রাখতে পারে।
এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা তৎপর রয়েছে। কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। দনিয়া কলেজও এই প্রচেষ্টায় সম্পৃক্ত হয়ে যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হচ্ছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমেদ, দনিয়া কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ড. মো. শাহ এমরান, বিদ্যোৎসাহী সদস্য ড. শেখ মনির উদ্দিন, হিতৈষী সদস্য ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দনিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ জনাব একরামুল হক লিটন এবং শিক্ষক প্রতিনিধি জনাব এ কে আজাদসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দনিয়া কলেজের অধ্যক্ষ জুয়েলা জেবুননেসা খান। তিনি বলেন ❝দনিয়া কলেজের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, যা এই কলেজের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব হবে, যদি তারা তাদের লক্ষ্যে মনোযোগী হয়। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষকই যথেষ্ট মেধাবী ও মানসম্পন্ন। তারা সর্বদা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে এবং তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের সাফল্যই এই কলেজের সাফল্য। তাদের মেধা, শ্রম ও নিষ্ঠাই এই প্রতিষ্ঠানকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
তিনি অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং এই ধরনের আয়োজনকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ সাকিব ও রোহানের পরিবারের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতা প্রদর্শন করা হয়। কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহিদদের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, পুরস্কার বিতরণী এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়। নতুন শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও সৃজনশীলতার পরিচয় দেন।
এ ছাড়াও, কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণোচ্ছল করে তোলে।
কেকে/এএম