মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে সায়ান রিসোর্টের আড়ালে চলে নারী, মাদকসহ অসামাজিক কার্যকলাপ।
সিঙ্গাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের জামির্ত্তা এলাকার প্রকৌশলী ড. ইউনুসের মালিকানাধীন ওই রিসোর্টটি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। রিসোর্টের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সংবাদ সংগ্রহে গেলে গণমাধ্যম কর্মীর সাথে অসাধাচরণ করে রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
জানা গেছে, সায়ান রিসোর্টের আবাসিক রুমে নারী, মাদকসহ নানা ধরনের অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ চলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ স্বরে সাউন্ডবক্স বাজানোর কারণে আসপাশের লোকজন রাতে ঘুমাতেও পারেন না। রিসোর্সটি বন্ধের জন্য স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। সম্প্রতি সায়ান রিসোর্টে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ধর্ষণে অভিযুক্ত সালমান তারিক উপজেলার গোবিন্দল (ধাইরাপাড়া) গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে গত বছরের ১১ আগস্ট রাতে সায়ান রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণ করে।
স্থানীয় আম্মার মোহাম্মদ লিটন বলেন, রিসোর্টে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে প্রভাবশালী নেতাদের ছত্র-ছায়ায় অসৎ উদ্দেশ্যে গড়ে উঠে। রিসোর্টে বিনোদন ও অবকাশ যাপনের অন্তরালে চলছে মাদকসহ সকল অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হোক।
স্থানীয় তারিকুর ইসলাম আলাল বলেন, রিসোর্টের আবাসিক হোটেল অভিযান পরিচালনা করা উচিত। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ও সকল প্রকার অনৈতিককাজ কিভাবে ঘটে সেটি আমার বোধগম্য নয়। ওই রিসোর্টের সাউন্ড বক্সের আওয়াজে আশপাশের লোকজন রাতে ঘুমাতে পারে না।
এ ব্যাপারে সায়ান রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। রিসোর্টে নারী ও মাদকের বিষয়টি সত্য নয়। আর রিসোর্টে ধর্ষণের ঘটনাটিও সত্য নয়, কারণ ওই সময় আমাদের রিসোর্সটি বন্ধ ছিল।
সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, কোনো রিসোর্টে যদি অসামাজিক কার্যকলাপ হয়ে থাকে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহায়তা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখব।
কেকে/এএম