সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,
১২ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: পদত্যাগের গুঞ্জনে যা বললেন নাহিদ ইসলাম      এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি বা এর ওপরে রাখতে পরিপত্র জারি      ২৪ ঘন্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ৫৮৫      সরকার সম্ভবত লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হচ্ছে: তারেক রহমান      বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয় ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোট দিতে      আগে স্থানীয় নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন: আবদুল কাইয়ূম      পাহাড় খেকোদের ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদফতরের অনিহা       
গ্রামবাংলা
করস্থান নেই, তবু বসতঘরের আঙিনায় মাজার
শ্রীমঙ্গলে সাতপীরের ভুয়া মাজার নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ
মো. এহসানুল হক, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
প্রকাশ: রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৪ পিএম  (ভিজিটর : ১৬২)
সাত পীরের মাজারের খাদেম মোতাহির আলী। ছবি: প্রতিনিধি

সাত পীরের মাজারের খাদেম মোতাহির আলী। ছবি: প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বসতঘরের আঙিনায় সাতপীরের নামে ভুয়া মাজার প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন যাবত সরলমনা মুসলমানদের সাথে প্রতারণা করে আসার অভিযোগ উঠেছে মোতাহির আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়রের পূর্ব লালবাগ এলাকায়।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে পূর্ব শ্রীমঙ্গল আবাসিক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাজারের প্রবেশ পথের গেটে লেখা রয়েছে ‘নূরে দরবারিয়া মাজার শরিফ’ এবং ভেতরে লেখা ৭ পীর।

মাজারের প্রবেশ পথের গেট

মাজারের প্রবেশ পথের গেট


মাজারের ভেতেরে প্রবেশ করে দেখা যায়, কবরের আকৃতিতে পাশাপাশি ৭টি কবর। এরমধ্যে একটি কবরের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা নুরে দরবারিয়া মাজার শরিফ। সামনে রয়েছে একটি দানবাক্স ও মোমবাতি জ্বালানোর পাকা স্থাপনা। সাত কবরের মাঝে বড় কবরটিতে দুইপাশে সাদা ও মধ্যখানে লাল রঙের কাপড় দিয়ে মোড়ানো। আর এখানে দেখা গেলো কিছু মহিলা ও পুরুষ মাজার জিয়ারত করছেন। পাশে ছোট একটি মহিলাদের ও একটি পুরষের নামাজ ঘর রয়েছে। 

বিভিন্ন সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, মাজারের ভেতরে বাতি জ্বালানোর সময় খাদেমের সাথে কথা বলা নিষেধ। খাদেমের অনুমতি ছাড়া দান বাক্সের উপরে পানি, তেল ও তাগা রাখা নিষেধ। এছাড়া লেখা রয়েছে খাদেমের সাথে দেখার করার সময় সকাল ১১টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

কোনো কবরস্থান না থাকলেও প্রবাস থেকে স্বপ্নে দেখে বাড়ির আঙিনায় তৈরি করা ৭ পীরের নামে কল্পিত এ মাজারকে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ভুয়া বলে প্রতিবাদ করে আসছেন এলাকাবাসী। 

স্থানীয়রা  জানান, স্বপ্নের ভুয়া মাজার যে স্থানে তৈরি করা হয়েছে সেই স্থানে আগে বড় একটি বাঁশঝাড় ও গোবরের গর্ত ছিলো। এখানে কারো সমাহিত করা হয়নি। জুলাই বিপ্লবের পর ভুয়া মাজার অপসারণরে দাবিতে আরো সোচ্চার হন এলাকাবাসী। সম্প্রতি এলাকার তাওহিদি জনতার পক্ষ থেকে মো. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দেওয়া হয়েছে। এতে ভুয়া মাজার অপসারণসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসির সাথে আলাপকালে জানা যায়, সাত পীরের মাজারের খাদেম মোতাহির আলী সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে হজ্ব পালনরত অবস্থায় ২০০১ সালে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় স্বপ্নে নির্দেশ পান যে, শ্রীমঙ্গল থানাধীন পূর্ব শ্রীমঙ্গল এলাকায় নিজ বসতঘরের আঙিনায় সাতটি কবরের আকৃতি করে মাজার স্থাপন করার জন্য। পরবর্তীতে তিনি ২০০২ সালে দেশে  এসে নিজ বাড়িতে ৭টি কবর আকৃতি করে মাজার স্থাপন করেন। এসব কবরের ৫টি উত্তর-দক্ষিণ এবং ২টি পূর্ব-পশ্চিম শিয়রী অবস্থায় নির্মাণ করা হয়। তবে নির্মিত ৭ কবরে কোন মৃত মানুষকে সমাহিত করা হয়নি। নির্মিত ৭টি কবরের চারপাশে পাকা দেয়াল রয়েছে। ৭টি কবরের স্থানই বর্তমানে সাত পীরের মাজার নামে এলাকায় পরিচিত।

মাজারের সামনে দেখা হয় খাদেম মোতাহির আলীর প্রতিবেশি জেসমিন বেগমের সাথে। মাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে মাজার করা হয়েছে সেখানে আমরা ছোট বেলায় পায়খানা করতাম এবং ময়লা-আবর্জনার স্তুপ ছিল। এখানে একটি কবরও নেই, যেখানে কবরস্থান নেই এখানে মাজার হয় কিভাবে? এলাকার সবাই জানে এটা ময়লার ভাগাড় ছিল। মোতাহির ভুয়া মাজার দাবি করে এলাকাবাসি এবং সরলমনা মুসলমানদের সাথে প্রতারণা করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এলাকার বাসিন্দা ও পূর্ব শ্রীমঙ্গল জামে মসজিদের মোতয়াল্লি মো. মকবুল মিয়া জানান, সাতপীরের মাজারের বাড়িটি ১৯৫৬ সালের রেকর্ড অনুযায়ী আমার বাবার ছিল। পরর্বতীতে খাদেম মোতাহির আলীর বাবা নূর মিয়ার কাছে তিনি বিক্রি করেন। সেখানে মোতাহির আলী রাতের বেলা একেক করে ভুয়া সাতটি কবরস্থান তৈরি করেন। আমার জানামতে এই ভূমিতে কোন ধরণের কবর অথবা মাজারের কোন চিহ্ন ছিল না। সে নিজের মনগড়া ৭ পীরের ভূয়া মাজার তৈরী করে এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সরলমনা মুসলমানদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। আমরা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মাজার অপসারণ ও কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে সোচ্চার রয়েছি। ভূয়া মাজারের খাদিমের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

পূর্ব শ্রীমঙ্গল লালবাগ গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, পূর্ব শ্রীমঙ্গলের লালবাগ এলাকায় জনৈক মোতাহির আলী তার বসতঘরের আঙিনায় কোনো কবরস্থান না থাকা সত্ত্বেও ৭ পীরের মাজার নামে এলাকাবাসী এবং সরলমনা মুসলমানদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে আসছেন। তিনি বিদেশে বসে স্বপ্নে দেখে দেশে এসে মাজার বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। এলাকার মানুষদের সাথে সম্পূর্ণ ধোকাবাজি ও প্রতারণা করে ৭ পীরের নাম নাম দিয়ে ২০১১ সালে ভুয়া মাজার প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি খাদিম এর দায়িত্ব পালন করছেন। যারা এই মিথ্যা ৭ পীরের মাজারের প্রচার প্রসারের কাজে নিয়োজিত তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন তিনি। মাজারের বিভিন্ন কার্যক্রমে তার আপন বোন মমতা ও ছোট শ্যালক সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া মাজার পরিচালনা কমিটিতে রাখা হয়েছে তার  ছেলে, তার আপন বোন জামাই, ভাগনা, ভাতিজাকে। পরিবারের সদস্যরাই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন এবং আয়-ব্যয় তাদের হাতেই। তিনি বলেন, ২০১৭ সাল হতে এখন এলাকাবাসী বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করে আসলেও তার অর্থশক্তির কাছে এলাকাবাসি পরাজিত। ভুয়া মাজার অপসারণ ও কার্যক্রম বন্ধে এলাকার মানুষেরা গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্বারকলিপি জেলা প্রশাসক ও শ্রীমঙ্গল থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ভিত্তিতে প্রশাসন ও  বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে। তদন্তের প্রতিবেদনে এটি সম্পূর্ণরূপে ভুয়া মাজার প্রমাণিত হয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মাজারের ভেতরের দৃশ্য

মাজারের ভেতরের দৃশ্য


২০১৭ সালের আগস্ট মাসে শ্রীমঙ্গল থানা প্রশাসন থেকে মোতাহির আলীকে মাজারের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তা সত্ত্বে অর্থশক্তির কারণে মাজারের সকল কার্যক্রম এখনো চালিয়ে আসছে। এখানে কোন মাজার নেই, অথচ ওরসের নামে বেহায়াপনাসহ ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান করে পরিবেশকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করা হচ্ছে।

শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের  ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস সালাম রাজা বলেন, এখানে পূর্বে কোনো কবরস্থান বা মাজার ছিল না। বরং বর্তমানে যেখানে মাজার করা হয়েছে সেখানে ছিল গরুব গোবর ফেলার স্থান। আমরা ছোটবেলায় দেখেছি এখানে অনেতেই  পায়খানাসহ মময়লা ফেলতো। এর পাশে ছিল বাশঝাড়।  মোতাহির প্রথমে ওয়েল্ডিং এর কাজ করতো। তার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকায় তার পরিবার তাকে সৌদি পাঠায়। সৌদি থেকে দেশের বাড়িতে শূন্য হাতে ফিরে এসে বাড়ির সামনে একটি ছোট টং দোকান তৈরি করে কোনরকম সংসার চালাতো। অনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে সারি সারি ভুয়া কবর সাজিয়ে ৭ পীরের মাজার বানিয়ে ভন্ডামি চালিয়ে শুরু করে প্রতারণা করে আসছে। নিজের পিতার নামে মাজারের নামকরণ করা হয়েছে নূরে দরবারিয়া শরীফ এবং বেনামী ৭ পীরের ভূয়া মাজার। কাউকে সে এই পীরদের নাম জানাতে চায় না। মোতাহিরের প্রতারণার ফাঁদ থেকে সরলমনা মুসলমানদের বাঁচাতে কয়েক বছর ধরে অনেক প্রতিবাদ করে আসছি।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য গিয়াস দাস বলেন, মাজার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মোতাহির আলী ও এলাকাবাসির সাথে ঝামেলা চলছে। তবে আমি এলাকাবাসি সুত্রে জেনেছি যেখানে বর্তমানে মাজার করা হয়েছে, এখানে কারো কোনো খবর নেই। এটা নিয়ে অনেক প্রতিবাদ হয়েছে, সর্বশেষ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। 

এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশ শ্রীমঙ্গলের ফিল্ড সুপারভাইজার আব্দুল বারি বলেন, ৭ পীরের মাজার বিষয়ে তদন্ত করে প্রত্যয়ন দেওয়ার জন্য ইউএনও স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, চলতি মাসেই আমি তদন্তের প্রতিবেদন স্যারের কার্যালয়ে প্রেরণ করেছি। তবে তদন্ত করে ৭ পীরের মাজারে কবরস্থানের কোনো অস্তিত্ব মিলেনি এবং এটি ভুয়া মাজার বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এবিষয়র শ্রীমঙ্গল থানার এসআই (ডিএসবি) জিয়া উদ্দিন বলেন, এ ঘটনাটি পুরোনো। তৎকালীন ওসি স্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই মাজার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে স্যারকে জানাতে। আমি সরেজমিন গিয়ে এলাকার স্থানীয় অনেকের কাছর তথ্য নিয়ে জানতে পেরেছি এটি ভুয়া। এখানে কোনা কবর নেই। সাতটি কবর আকৃতি হলেও কাউকে সমাহিত করা হয়নি।

মাজারের স্থানে কোনো কবরস্থান নেই স্বীকার করে নূরে দরবারিয়া সাতপীরের মাজার শরীফের খাদেম অভিযুক্ত মোতাহির আলী বলেন, আমি ২০০১ সালে হজ্ব করি। হজ্ব পালনকালে আমার গায়ে হালকা বাতাস লেগে আমার ঘুম এসে যায়। তখন স্বপ্নে দেখি আমার বাড়িতে নূরে দরবারিয়া মাজার শরীফের আকৃতি। স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে মাজার তৈরি করি। সাত পীরের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাতপীরের নাম আমার কাছে এখনো আসে নাই। শুধু নূরে দরবারিয়া মাজার শরীফ এর নাম এসেছে। যখন তিনি জানবেন সকলের সামনে তুলে ধরবেন। 

এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে এলাকার মানুষজন আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। যারা অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন আমি তাদের বলে দিয়েছি, যদি মাজার কেন্দ্রিক কোনো ধরণের অসামাজিক বা অনৈসলামিক কার্যকলাপ হয় অথবা প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  বসতঘরের আঙিনায় মাজার   সাতপীরের ভুয়া মাজার   মাজার নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

চকরিয়ায় ১২তম উপজেলা স্কাউট সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নোবিপ্রবিতে ইশারা ভাষা বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন
শ্রীমঙ্গলে লাইব্রেরি ও শিশু উদ্যান দখলমুক্ত করার দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম
রাবিকে পেছনে ফেলে সহকারী জজে সারা দেশে প্রথম হলেন ববির সাদিয়া
কোহলির সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল পাকিস্তান

সর্বাধিক পঠিত

সায়ান রিসোর্টের আড়ালে নারী ও মাদক ব্যবসা
পুত্র সেজে ভাতিজা তোলেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, জড়িত ইউপি সচিব
ওয়েস্ট অ্যান্ড হাই স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি মীর নেওয়াজ
বিদ্যালয়ে না গিয়েও সুবিধা ভোগের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে পাবিপ্রবির ক্রিকেট ফাইনাল বন্ধ

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝