ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রমের ফলে ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা, ভূমি নিয়ে বিরোধ, মারামারি, মামলা মোকদ্দমা একেবারেই কমে আসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ।
আজ শনিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ ফেরীঘাট এলাকায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রম’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গ্রামে যখন পূর্বে সার্ভে করা হতো তখন মাপগুলো ঠিক হওয়া নিয়ে কিংবা জমির পরিমাপ ঠিক থাকবে কিনা তা নিয়ে ভয় কাজ করতো এবং বিপত্তি সৃষ্টি হতো। এতে গ্রামে অস্থিরতা তৈরি হতো। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রম প্রযুক্তির মাধ্যমে জমি সার্ভে করার কারণে নির্ভুলভাবে মাপ পাওয়া সম্ভব হবে। সমাজ থেকে অস্থিরতা দূর হবে। পূর্বে জমির খতিয়ান পেতে অনেক সময় লাগত। পাশাপাশি তা পেতে অনেক অস্বচ্ছতার মধ্যে পড়তে হতো। তা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, বাসায় বসে অনলাইনের মাধ্যমে জমির খতিয়ান পেয়ে যাবে। পাশাপাশি জমির খাজনা দেওয়াটাও সহজ হয়ে যাবে। ৩৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে এ কার্যক্রম শেষ হবে বলে তিনি জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব ও ইডিএলএমএস প্রকল্প পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রমুখ।
কেকে/এজে