জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন- যুবকদের শেষ শক্তিতে অর্জিত বাংলাদেশ নতুন বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ, দুর্নীতি এবং দুঃশাসন মুক্ত বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ আমরা গরব। কোন ষড়যন্ত্রই আমাদের রুখতে পারবেনা। যেখানে অনিয়ম দুর্নীতি, যেখানে দুঃশাসন, সেখানেই লড়াই। মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ২০১৪ সালের সরকার বিরোধী আন্দোলনে নিহত শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ছেলে মাওলানা বেলাল হোসেন জামাত কর্মীর কবর জেয়ারতে যাওয়ার পথে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এদেশে আমাদের জন্ম হয়েছে। এদেশেই আমরা বেরে উঠেছি। এদেশের আলো বাতাস কে আমরা বুকে ধারণ করেছি। এদেশের মানুষকে আমরা ভালোবেসেছি। আমরা সম্মান করেছি এদেশের মাটিকে। তার পরেও এমন অবস্থা কেন ছিল। সাড়ে ১৫ বছর এদেশের শাসন ক্ষমতায় এমন একটি শাসনব্যবস্থা ছিল যারা মানুষের বাঁচার অধিকার মানুষের, সম্ভ্রম রক্ষার অধিকার, মানুষের খাওয়ার অধিকার, মানুষের ভোটের অধিকার, মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার, এক কথায় সমস্ত মানব অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছিল। তারা বাংলাদেশের মানুষের উপরে জুলুম করেছে। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে কানাডাসহ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় বেগম পাড়া তৈরি করেছে। শেষ পর্যন্ত নিজেরাও তারা পালিয়ে গেছে। পতিত সৈরাচার সমর্পকে বলেন,তারা বলতো এই দেশটি তাদের। চোখ রাঙ্গা তো তোমরা কারা আমরা জমিদার তোমরা আমাদের প্রজা, আমাদের ইচ্ছামতোই তোমাদের এখানে বসবাস করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা অহংকারকারী কে পছন্দ করে না। অহংকার কারীদের অহংকার আল্লাহতালা মাটির সাথে চুরমার করে দেয়। ভালো মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়। বন্ধুরা ইতিহাসে রাস্তা দেখায়। নিকৃষ্টরা ইতিহাস থেকে কোন ভালো শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না।
জামায়েত নেতা সম্পরকে বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো জেলে বন্দি কেন? আমরা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি তিনি এখনো কারাগারে কেন। এজন্য এই দলের একজন ছোট দায়িত্বশীল হিসেবে আমি আর বাইরে থাকতে চাই না। আমাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আজহার ভাইয়ের মুক্তির সাথে সাথে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে না। তবে একজন মজলুম মুক্তি পাবে।
যুবকদেরকে সম্মান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমি আবারো যুবকদের সেলুট জানাই। টানা ১৫ বছর রাজনৈতিক দল আমরা আন্দোলন করেও সৈরাচারকে সরাতে পারিনাই। আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদের কবল থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। আমি আবারো তাদেরকে অভিনন্দন জানাই স্যালুট জানাই। যে সমাজে যুবকেরা এগিয়ে আসে বিপ্লবের জন্য সেই যুবকদের কাছে আমাদের দাবি রাষ্ট্র গঠনে আমরা তাদের সহযোগিতা চাই।
জেলার নায়েবে আমির কে এম মকবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, জেলা আমির অধ্যক্ষ মুহা. আব্দুর রব হাশেমী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
কেকে/ এমএস