মুসলমানের আবশ্যকীয় ইবাদত সালাত। এই সালাতকে মুমিনের মেরাজ, আল্লাহর সঙ্গে বান্দার কথোপকথনসহ নানাভাবে বর্ণনা করা হয়। আর নামাজের প্রস্তুতি হিসেবে একজন মুসলিমকে কিছু কাজ করতে হয়। এসব কাজ শুধু যে ইবাদত তাই নয়। এর পেছনে বিদ্যমান রয়েছে বিজ্ঞানের অনেক মর্মময় কথা। যা সালাত ও বিজ্ঞান বইটিতে লেখক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
বইটিতে লেখক মোহাম্মদ কামাল হোসেন প্রথমেই নিজের কিছু কথা লিখার পরে শব্দগতভাবে সালাত ও নামাজের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেছেন। এরপর অজুর উপকারিতা বিশেষ করে হাত, মুখ, নাক, কান, পা ধৌত করার উপকারিতা কী এবং কোন অঙ্গ কীভাবে ধৌত করার ফলে শরীরের কোন অঙ্গে কীভাবে প্রভাব পড়ে তার বর্ণনা দিয়েছেন। গোসল, তায়াম্মুম, মিসওয়াক, সুন্নতে খতনা কীভাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। সালাতে নির্ধারিত প্রতিটি সময় কীভাবে মানুষের রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। সালাতের প্রতিটি ভঙ্গি বা অবস্থান মানুষের বিভিন্ন অঙ্গে কীভাবে প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ, হার্ট, চোখ, স্মৃতি সমস্যা, জয়েন্ট, রাগ, হজম, ব্যথা, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সালাতের ভঙ্গিগুলো কীভাবে অবদান রাখে এগুলো প্রতিটি আলাদাভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সালাত কীভাবে আকুপ্রেসার হিসেবে কাজ করে তার আলোচনাও করা হয়েছে।
জামাতে সালাত, তাহাজ্জুদ সালাত, তারাবিহ সালাত, সালাতুত তাসবিহ সালাত কীভাবে কোন কোন রোগ প্রতিরোধ এবং নিরাময়ে সাহায্য করে। সালাতের মাধ্যমে কীভাবে মানসিক, শারীরিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উপকার সাধিত হয়। কোন অঙ্গে কীভাবে প্রভাব পড়ে, কোন রোগ কীভাবে প্রতিরোধ ও নিরাময় হয় ইত্যাদি আলোচনা করা হয়েছে।
কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির মতামত ও কিছু গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। যোগব্যায়াম, রিফ্লেক্সোলজি, ধ্যান ও ব্যায়ামের সঙ্গে সালাতের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পরিশেষে কোরআন-হাদিসের আলোকে সালাত ও কীভাবে একটি ভালো সালাত অর্জন করা যাবে তার আলোচনা করা হয়েছে। ছোট-বড় সব মিলিয়ে ১৫০টিরও বেশি আর্টিকেল লিখা হয়েছে এ বইটিতে।
কেকে/ এমএস