রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের তিন বছর পূর্তিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। যার বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাবে রাশিয়া পক্ষে ভোট দিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর বিবিসি
নিরাপত্তা পরিষদে ইউরোপীয়ান প্রস্তাবে মস্কোর কর্মকাণ্ড নিয়ে নিন্দা এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন জানানো হয়। কিন্তু এতে শুরুতেই রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করে। যদিও নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হয়।
এরপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব খসড়া প্রস্তাবে উভয় দেশ সমর্থন জানায়। যেখানে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। তবে এই প্রস্তাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা করা হয়নি।
নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব পাস হলেও এতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে মার্কিন দুই মিত্র যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ এই প্রস্তাব এমন এক সময় জাতিসংঘে উত্থাপন করা হলো যখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করছেন এবং তিনি এই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে মত পার্থক্য দূর করার চেষ্টা করছেন।
এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সার কিয়ার স্টারমার নতুন মার্কিন নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রান্সআটলান্টিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক এক প্রকার তলানিতে নিয়ে গেছেন। অন্যদিকে তিনি মস্কোকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সামনে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, তাতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য শোক প্রস্তাব ও এ যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে ইউরোপের কূটনীতিকরা তাদের প্রস্তাবে এ যুদ্ধের জন্য রাশিয়ারকে অভিযুক্ত করা এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন জানানো হয়।
ইউক্রেনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়ানা বেটসা বলেন, ‘আমাদের আবারও নিশ্চিত করতে হবে যে এই আগ্রাসন নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য, এটি কোনোভাবেই পুরস্কৃত হওয়া উচিত নয়।’
ইউরোপের প্রস্তাবটি ৯৩টি ভোটে পাস হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবে সমর্থন না জানিয়েছে উল্টো সে রাশিয়া পক্ষে ভোট দিয়েছে। যাতে সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, সুদান, বেলারুশ, হাঙ্গেরি এবং আরও ১১টি রাষ্ট্র। তবে ভোট দানে বিরত ছিল ৬৫ সদস্য রাষ্ট্র।
কেকে/এআর