হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলিকে প্রধান আসামি করে পুলিশের ১৮ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপি নেতা এসএম আব্দুল আউয়াল।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গুলি চালিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের আহত করে। মামলায় তৎকালীন সদর সার্কেলের এএসপি খলিলুর রহমান, সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব, ডিবি পুলিশের ওসি মো. শফিকুল ইসলামসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, পুলিশের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়ে গুলি ছোড়ে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের আহত করে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে গ্রেফতার করে।
আহতদের মধ্যে অনেকে পালিয়ে গেলেও, কয়েকজন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জিকে গউছের বাসভবনে আশ্রয় নেন, যেখানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা এস এম আব্দুল আউয়াল মামলায় উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় তিনি গুরুতর আহত হন এবং প্রাণনাশের আশঙ্কায় দীর্ঘদিন আইনের আশ্রয় নিতে পারেননি। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন এবং সুবিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০/১৫০০ জন্য অজ্ঞাত করে মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতার করতে কাজ করছে পুলিশ।
কেকে/এএস