বই কিনে কেউ কোন দিন দেউলিয়া হয় না। বই হোক সকল মানুষের নিত্য সঙ্গী। যশোরের কেশবপুরে পাঁজিয়া বই মেলার প্রধান অতিথি পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার মকবুল হোসেন মুকুল এ কথা বলেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাঁজিয়া বই মেলা উদযাপন পরিষদের শেষ দিনের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বইমেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি এম এ হালিম ।
প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বইমেলা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার মকবুল হোসেন মুকুল।
মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, বই কিনে কেউ কোন দিন দেউলিয়া হয় না। বই হোক সকল মানুষের নিত্যসঙ্গী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাঁজিয়া ডিগ্রি কলেজ প্রভাষক শাহজাহান কবির, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্তী, ফুলতলার জামিরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক কবি, লেখক ও সাহিত্যিক তাপস মজুমদার, শহিদুল ইসলাম, বইমেলা উদযাপন কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক জি এম আব্দুল গফুর, রুবেল হোসেন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান। বই মেলায় প্রধান অতিথির হাতে সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান এর লেখা দুটি বই আধ্যাত্মিক সাধক গোলাম আলী ফকির ও ইতিহাসে কেশবপুর দুটি বই তাঁর হাত তুলে দেন। ৪ দিনের বই মেলায় লেখক কবি, সাহিত্যিকদের আলোচনা। বিভিন্ন বইয়ের স্টল, শিশুদের চিত্র বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, পংক্ষিরাজ। শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেনী ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শেষ দিনের আলোচনায় মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি এম এ হালিম বলেন পাঁজিয়ার ঐতিহ্যের মূলে সুসাহিত্যিক মনোজ বসু, অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্য, ঐতিহ্যের রুপকার আধ্যত্মিক সাধক গোলাম আলী ফকির, রাজা পরেশ নাথ,দেওয়ান রুক্ষিনী বসুর জন্মস্থান এই পাঁজিয়া। বই মেলার মাধ্যমে যুব সমাজ কে বই পাঠে আগ্রহী করতে পারলে তারা মাদক থেকে দূরে থাকবে এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জাতির কল্যানে আসবে। মেলার ধারা অভ্যাহত রাখার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
কেকে/এআর