কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া এলাকায় একটি বাস মহাসড়ক থেকে ছিটকে পাশে ধানখেতে উল্টে পড়ে যায়। এতে বাসে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৩জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটার দিকে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও চালকের সহকারি পালিয়ে যান। আহতদের মধ্যে ৬জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহীনুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে তিনিসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা রয়েছেন। আহতের প্রাথমিক চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করছে। এছাড়া হাসাপাতালে জরুরিভাবে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা আছে। যদি কোন শিক্ষার্থীকে রেফার্ড করা হয় তবে দ্রুত তাকে দেশের যেকোন জায়গায় নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানা পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, সকাল দশটার দিকে কুষ্টিয়া শহর থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বাস (নিয়মিত ভাড়া করা বাস) ক্যাম্পাসে যাচ্ছিল। বিত্তিপাড়া এলাকায় পৌছালে বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ডানপাশে উল্টে ধানখেতে পড়ে যায়। ওই বাসে অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। উল্টে যাবার পর বাসে থাকা অন্তত ১৩ জন শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যা সেখানে যান।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বাসটি খুব দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। হঠাৎ ডানদিকে বেকে গিয়ে বাসটি ধান খেতে বাস উল্টে যায়। এতে বাসে থাকা প্রায় সব শিক্ষার্থীই কম বেশি আঘাত পান। অনেকে ধান খেতে থাকা কাদায় পড়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহীনুজ্জামান বলেন, ১৩জন শিক্ষার্থীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৬জনকে ভর্তি করে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করানো হচ্ছে।
কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন বলেন, যতটুকু জানা গেছে বাসের চালক গতরাতে বাস নিয়ে পিকনিকে গিয়েছিলেন। এজন্য ক্লান্ত ছিলেন। হয়তো সকালে বাস চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে বাসটি সড়কের ডান দিকে চলে গিয়ে ধান খেতে পড়ে। চালকসহ চালকের সহকারিকে পাওয়া যায়নি।
কেকে/এআর