বাংলাদেশে রোগীর চেয়ে রক্তদাতার সংখ্যা কম। রক্তদানকে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর ২ নভেম্বর জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবস উদযাপন করা হয়।
আজ শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সকাল ১০ টায় বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীরা চবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতামূলক হাতে লেখা বিভিন্ন পোস্টার লাগিয়ে দেয়। এরপর বেলা ১১ টায় বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘বাংলাদেশে রক্তদাতা সংকট: সমাধানের উপায় সন্ধান’ শিরোনামে আলোচনা সভা ও বিশেষ পাঠচক্র আয়োজন করে।
প্রধান আলোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমাদের চ্যারিটি করার প্রবণতাটা কম। রিলিজিয়াস পারসেপশান থেকে আমরা কিছু চ্যারিটি করলেও এটাকে কীভাবে আরো ফ্রুটফুল করা যায়, সেটা নিয়ে আমাদের কাজ হচ্ছে না। রক্তদান বর্তমানে একটি পপুলার চ্যারিটি হলেও দেশে রোগীর চেয়ে রক্তদাতার সংখ্যা নিতান্তই কম। রক্তদাতা সংকটের বিষয়টা তখনই আমাদের সামনে আসে, যখন আমরা হন্য হয়ে রোগীর স্বজনদেরকে রক্ত খুঁজতে দেখি। আমাদের উচিত হবে রক্তদানসহ সেবামূলক কাজগুলো আরো বেশি পরিমাণে এবং নিয়মিতভাবে কন্টিনিউ করা। চ্যারিটিকে আমাদের অভ্যাসে পরিণত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরী।’
বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি অন্তর সফিউল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশে রোগীর চেয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা অনেক কম। সিজার, অপারেশন, এক্সিডেন্ট, এনিমিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর প্রতিনিয়ত রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া, ব্লাড ক্যান্সার ও কিডনি ডায়ালাইসিস রোগীদের মাসে এক বা একাধিক বার করে রক্ত গ্রহণ করতে হয়। রোগীর স্বজনরা এটা নিয়ে অনেক পেরেশানিতে পড়ে যান। রক্তদাতা সংকটের মূল কারণ হলো অসচেতনতা। মানুষ না জানার কারণে রক্তদানে ভয় পায়। রক্তদান করলে কোনো ক্ষতি হয় না। বরং নিয়ম মেনে রক্তদান শরীরের জন্য উপকারী। এই বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশে রক্তদাতা সংকট কাটানো সম্ভব। বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব বাংলাদেশকে রক্তাদাতা সংকট থেকে উদ্ধার করতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাবে- ইনশাআল্লাহ।’
কেকে/এজে