অসচ্ছল কিশোরীদের স্বাবলম্বী করার জন্য গাইবান্ধার ৪০ কিশোরীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শেষে সনদপত্র ও নগদ অর্থ সহায়তাসহ সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। দীর্ঘ চার মাস সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তাদের দেওয়া হয় এসব।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ফোরাম-৮৬ এর ইউএসএ অর্থায়ন এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্মীরহাতের সহযোগিতায় আত্মকর্মসংস্থান ও যৌতুকবিরোধী প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা-সাদুল্যাপুর সড়কে কর্মীরহাত কার্যালয়ে এসব বিতরণ করা হয়।
প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন পেয়ে দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা এই নারীদের বিষণ্ন মুখে ফুটল হাসির ঝিলিক। এই উদ্যোগের প্রশংসা করলেন স্থানীয় বিশিষ্টজনরাও।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ফোরাম-৮৬ এর ইউএসএ অর্থায়ন এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্মীরহাতের সহযোগিতায় গাইবান্ধা সদর ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় দুটি কেন্দ্রে ৪০ কিশোরীকে কাটিং, সুইং, এমব্রয়ডারি, ব্লক এবং শো-পিস তৈরির চার মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কর্মীরহাতের সহসভাপতি এটিএম ফরাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কাইয়ুম হুদা, কর্মীরহাতের সিনিয়র সহ-সভাপতি লতিফ হক্কানি, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবির বাদল, নির্বাহী সদস্য কে এম রেজাউল হক, জাহিদুল হক লিটন, আমিনুল ইসলাম, দিলরুবা আকতার ঝর্না, প্রশিক্ষক কামরুন্নাহার, প্রশিক্ষণার্থী ফারজানা আকতার, সুমাইয়া আকতার সুমি প্রমুখ।
ডোনার প্রতিনিধি জাহিদুল হক লিটন বলেন, গত তিন বছর থেকে জেলার বিভিন্ন দারির্দ্যপীড়িত এলাকা থেকে অসচ্ছল কিশোরীদের খুঁজে বের করে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় সেলাই মেশিন। সেই ধারাবাহিকতায় চার মাসের প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে গাইবান্ধা সদর ও সাদুল্লাপুরের কিশোরীরা পেলেন একটি করে সেলাই মেশিন। এখন জীবনযুদ্ধে পরিবারকে সাহায্য করবেন তারা।
অনুষ্ঠানের অতিথি নাজমুল ফজলুল কায়ুম হুদা বলেন, অসচ্ছল এসব কিশোরীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে প্রশিক্ষণ শেষে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দেওয়া হলো। তারা এই মেশিনের মাধ্যমে কাপড় সেলাই করে যা উপার্জন করবেন, সেটি কিছুটা হলেও সংসারের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে। আমি কর্মীরহাতকে তাদের এই কর্মতৎপরতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যেকোনো ভালো ও মহৎ কাজে যুক্ত থাকতে পারা আনন্দের। তারা মানবতার সেবায় কাজ করছেন। এই কর্মকাণ্ড সমাজের বিত্তবানদের নিশ্চয়ই মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রয়োজন।
কেকে/ এমএস