মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,
১৩ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: ছিনতাইকারীর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নারীর মৃত্যু      তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করতে হলে অজু করে নেবেন: বুলু      পুলিশের ৮২ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন      দুঃসময়ে সেনাবাহিনীই আমাদের শক্তি: ফখরুল      নাহিদকে দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী বললেন প্রেস সচিব      দ্রুত সিটি ও পৌরসভা নির্বাচন হওয়া উচিত: উপদেষ্টা আসিফ      ৯ মন্ত্রণালয়-বিভাগে নতুন সচিব      
গ্রামবাংলা
ধ্বংসের পথে বাঞ্ছারামপুর রুপসদী খানেপাড়া জমিদার বাড়ি
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৫ পিএম  (ভিজিটর : ৭৫)

বসে না কীর্তনের আসর, হয় না বৈশাখী মেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপসদী গ্রামের শতবর্ষের জমিদার বাড়িটি এখন ধ্বংস হতে বসেছে। ১৯১২ সালে ভারত থেকে নকশা ও রাজমিস্ত্রি এনে তীর্থবাসী চন্দ্র রায় ৫ একর জমির ওপর এই অট্টালিকা নির্মাণ করেন ।

এ বাড়িতে ৩টি পুকুর ছিল। বড় বড় মাছ ছিল এসব পুকুরে। এক সময় বিরাট বৈশাখী মেলা বসত এই জমিদার বাড়িতে । উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোক বৈশাখী উৎসব উদযাপন করার জন্য এই জমিদার বাড়িতে ভিড় জমাতো। প্রতি বছরে হতো কীর্তন নামযজ্ঞসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। একটি বড় পূজাপার্বণ ছিল পূর্বদিকে। সার্বক্ষণিকভাবে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকত এ জমিদার বাড়িতে।

জানা গেছে, কোনো লোক ছাতি মাথায় বা জুতা পায়ে দিয়ে এ জমিদার বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে পারত না। এ কারণেই জমিদার তীর্থবাসী চন্দ্র রায় রুপসদী গ্রামের সর্বশেষ পূর্ব পার্শ্বে ৫ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন এই অট্টালিকা। এখানে বসে খাজনা আদায় করা হতো। জমিদার তীর্থবাসী চন্দ্র রায় রাজকীয় ভঙ্গিতে ঘোড়া চড়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতেন ।

তার ছেলে মহিষ চন্দ্র রায় এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ১৯১৫ সালে সাড়ে চার একর জমির ওপর নির্মাণ করেন রুপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয় । একই সালে তার পিতা তীর্থবাসীর স্মৃতি রক্ষায় নির্মাণ করা হয় একটি বিরাট মঠ। জমিদার বাড়িতে এখন আর পূজা হয় না, কীর্তনের আসর বসে না, হয় না বৈশাখী মেলা, নহবতের সুর আর বাতাস মাতিয়ে তোলে না। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে জৌলুশ হারাতে থাকে জমিদার বাড়িটি। কালের পরিবর্তনে জমিদার বাড়িটি এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। সন্ধ্যার পর আমোদ-ফুর্তি করার জন্য বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে নির্মাণ করা হয় একটি নাচের ভবন।রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তাও ভেঙে গেছে। জমিদার বাড়ির কিছু অংশ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে আশপাশের লোকজন জানান।

জমিদার ভবনের দরজা-জানালা ভেঙে গেছে বহু আগে, ভবনের বিভিন্ন স্থানে আগাছা জন্মে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সংস্কারের অভাবে বাড়িটির পলেস্তারা ধসে যাচ্ছে। পূজা মণ্ডপের ছাদ ভেঙে দেয়ালগুলো দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হিসেবে। যারা উত্তরসূরি হিসেবে বেঁচে আছেন তাদের কেউ এখানে থাকেন না। কেউ-বা শহরে কেউ ভারতে চলে গেছেন। রোজা, ঈদ-পার্বন অথবা হিন্দুদের বার্ষিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শহর থেকে লোকজন এখানে আসলে পুরাতন জমিদার বাড়িটি দেখতে রুপসদী গ্রামে চলে যান, সেখানকার পুরাকীর্তি দেখে মন জুড়ান। এমতাবস্থায় প্রশাসনের কাছে ঐতিহ্য সংরক্ষণে জমিদার বাড়িটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কেকে/এএম


মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

‘আমি ছাত্রলীগ করে খেলে আসছি, এখনও খেলে দিবো’
টঙ্গীতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ
চুয়েটে চার শিক্ষার্থীকে মাদক সেবনের দায়ে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার
লোহাগাড়ায় অবৈধ ইটভাটায় উচ্ছেদ অভিযান
বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান

সর্বাধিক পঠিত

কুবির ৪ নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হলে মাদক গ্রহণের অভিযোগ
‘আমি ছাত্রলীগ করে খেলে আসছি, এখনও খেলে দিবো’
পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালিয়েছে আসামি
টাঙ্গাইলে ধর্ষণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ
ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে নোবিপ্রবির এসিসিই বিভাগের সংবাদ সম্মেলন

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝