টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলাতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ঠছে শসা চাষ। চলতি মৌসুমে ধনবাড়ী উপজেলাতে ১৫ হেক্টর জমিতে শসার চাষ হয়েছে। কৃষকের মাঠে মাচায় হলুদ-সাদা ফুল কিংবা থরে থরে ঝুলছে শসা।
২৬ (ফেব্রুয়ারি) বুধবার ধনবাড়ী উপজেলার কয়েকটা গ্রামের ফসলের মাঠে গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা যায় ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ও খেত খামারে। এবার শসার আবাদও ভালো হয়েছে। রমজানে ভালো মূল্য পাবার স্বপ্ন দেখছে কৃষক।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। শসার বীজ রোপণের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল ধরা শুরু হয়।
বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১০ হাজার আর বিক্রি হয় ২০ হাজার টাকায়। লাভ বেশি হওয়ায় শসার চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।
উপজেলার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, শসার পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকারদের কাছে শসা বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অনেক কৃষক। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাইকারদের কাছে প্রতি মণ শসা ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি করছেন তারা। তবে রমজানে আরো বেশি দামে বিক্রি হবে বলে আশা কছেন তারা।
শসা চাষি জলিল বলেন, এ মৌসুমে এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন, যাতে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এতে আশা করছি বিক্রি হবে ১ লাখ টাকার বেশি। এবার আবহাওয়া ভালো। বাজারে শসার ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে সামনে রমজান দাম আরো বাড়তে পারে।
মুশুদ্দি গ্রামের শসা চাষি বেলাল হোসেন বলেন, প্রায় দেড় একর জমিতে শসার আবাদ করেন তিনি। প্রথমবার অধিক নানা কারণে ফলে অনেক গাছ মারা যায়। পরে আবার গাছ লাগাই। এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে শসা বিক্রি শুরু করব।
ধনবাড়ী উপজেলার কৃষি অফিসার মো. মাসুদুর রহমান জানান, এ মৌসুমে ধনবাড়ী উপজেলায় প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাজারে শসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভালো দামও পাচ্ছেন তারা।
এ ছাড়া কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং কৃষি উপসহকারী গন মাঠ পরিদর্শন করেন যাতে করে কৃষকের ফসলের কোনো সমস্যা না হয়।
কেকে/এএম