ফরিদপুরের সালথায় ব্যবসায়ী ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমানকে (৩৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠান হয়। এর আগে শুক্রবার (১ নভেম্বর) গভীর রাতে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল হাফিজুরকে ফরিদপুর সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
হাফিজুর রহমান সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে গোপালিয়া গ্রামের সাহিদ মাতুব্বরের ছেলে ও উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার গভীর রাতে ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে সালথার ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফিজুর ওই হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে সালথা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১১ আগস্ট রাত ১০ টার দিকে নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সালথার গোপালীয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. ইয়ার আলীর উপর হালমা চালায় প্রতিপক্ষের হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগীরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইয়ার আলীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা গত ৩ সেপ্টেম্বর ইয়ার আলী মারা যান। এ ঘটনায় ইয়ার আলীর ছেলে রাসেল শেখ বাদী হয়ে হাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন। এ মামলায় আরো ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে হাফিজুর আত্মগোপনে চলে যান।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুরকে গ্রেফতারের পর শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কেকে/এমআই