কুমিল্লা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) চলতি অর্থ বছরে গত সাত মাসে ৬১৬.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য রফতানি করেছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার মিলয়ন মার্কিন ডলার হলেও সূচক বলছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো বেশি রফতানি আয় হবে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো বেশি রফতানি আয় হবে। অপর দিকে অর্থবছরে একই সময়ে বিনিয়োগ হয়েছে সাড়ে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) রফতানি আয় হয়েছে ৭১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বিনিয়োগ হয়েছে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বেপজা সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর পুরাতন বিমান বন্দর এলাকায় ২০০০ সালে ২৬৭.৪৬ একর জায়গা নিয়ে কুমিল্লা ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেডে ৪৮ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার মধ্যে মধ্যে সম্পূর্ণ বিদেশী মালিকানাধীন ২৯টি। দেশি-বিদেশী যৌথ মালিকানায় ৭টি। দেশীয় মালিকানায় ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কুমিল্লাসহ দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে দিন দিন এগিয়ে চলছে এ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি।
কুমিল্লা ইপিজেড সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ৫০ হাজারের অধিক শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তার কর্মসংস্থান হয়েছে। দুইশ ৭০ জন বিদেশী নাগরিক। কর্মীদের ৬৬ শতাংশ নারী যা কুমিল্লা অঞ্চলে নারীর ক্ষমতায়ন, দক্ষতা ও উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। তাছাড়া, নির্মাণ শ্রমিক, লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক, গার্বেজ শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক হিসেবে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার লোক দৈনিক চুক্তিভিত্তিক কাজ করে যাচ্ছেন। কুমিল্লা দৈনিক ইপিজেড প্রতিমাসে বেতন ভাতা বাবদ ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এই ২০০ কোটি টাকা স্থানীয় অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
কুমিল্লা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর ৭০০ থেকে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে আসছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫০০ থেকে ৯০০০ কোটি টাকার সমান। এই রফতানি আয়ের একটি বড় অংশ শ্রমিকদের বেতন ও ভাতায় ব্যয় করা হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
কেকে/ এমএস