টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় প্রায় সব ধরনের ফসলের আবাদ করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন আবাদি মাঠে দেখা যায় চলতি মৌসুমে গম চাষে বাম্পার ফলনের আশায় স্বপ্ন বুনছে গম চাষিরা। তারা বলছেন, এ বছর যে কোন ফসলের চেয়ে গমের বাজার মূল্য ভালো হওয়াসহ সার, কীটনাশক ও সেচ কম লাগায় গম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
তাদের মতে, এখন পর্যন্ত অবহাওয়ার যে অবস্থা, তাতে প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ দেখা না দিলে এ বছর উপজেলার প্রতিটি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গম উৎপাদন হবে।
উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের গম রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হেক্টর প্রতি উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে চার মেট্রিক টন।
তবে এ বছর নতুন জাতের গম সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন কৃষি বিভাগ।
কেন্দুয়া গ্রামের কৃষক করিম বলেন, তিনি ইতোমধ্যে তার ২ বিঘা জমির গমে সেচ দিয়েছেন। তিনি আশা করছেন এ বছর যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে বিঘাপ্রতি ২০-২২ মন হারে গম উৎপাদন হবে। গত বছর আবহাওয়া অনুকূল ছিল। একই সাথে সার ও সেচের কোন সমস্য হয়নি। তবে গমের বাজার ছিল অনেকটায় খারাপ। এদিক থেকে এ বছর গমের বাজার ভাল রয়েছে। এছাড়াও বাজারে চাউলের দাম বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি হওয়ায় তিনিসহ অত্র অঞ্চলের অনেক কৃষকই এ বছর গম চাষের দিকে বেশি যত্নবান হয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ধনবাড়ীর মাটি যে কোন ফসলের জন্য মারাত্নক উপযোগী। শুধু মাত্র দরকার একটু পরিচর্যা। তাঁর মতে, অবহাওয়া অনুকুল থাকলে এ বছর প্রতিটা মাঠে কৃষকরা যে হারে গম রোপণ করেছেন তাতে করে বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে এবার লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ গম উৎপাদন হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে কৃষির সঙ্গে অত্র উপজেলার অনেক শিক্ষিত তরুণ যুবকরা সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে এখানে বেশ কয়েকটি পলিনেট হাউজ তৈরি হয়েছে। এর ফলে শীতের সবজি গরমে এবং গরমের সবজি শীত মৌসুমে পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি বিদেশি ফল ও ক্যাপসিকাপ (মিষ্টি) মরিচসহ হরেক রকম ফসল উৎপাদণে আগ্রহ বেড়েছে।
কেকে/ এমএস