গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তরুণ লেখক ও কলামিস্ট সেলিম রানা রচিত গ্রন্থ ‘প্রান্তজন আইয়ুব রানা’বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলার উন্মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উচ্ছ্বাস প্রকাশনীর ব্যানারে প্রকাশিত গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- দৈনিক বাঙলার জাগরন সম্পাদক মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, লেখক সেলিম রানা, কালিয়াকৈর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন সানি, কিশোরী কবি সেতুতিঁ আফরিন ও গ্রন্থের মূল চরিত্র সমাজসেবক আইয়ুব রানা। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লেখক সেলিম রানা বলেন, ‘প্রান্তজন আইয়ুব রানা’ কেবল একটি জীবনীগ্রন্থ নয়, বরং এটি এক সংগ্রামী মানুষের জীবনগাথা। তিনি বলেন, কালিয়াকৈর ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি জনপদ। এখানে অনেক কৃতি মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন, যারা নিজেদের শ্রম ও মেধা দিয়ে সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আইয়ুব রানা তাদেরই একজন। তিনি এই অঞ্চলের সংস্কৃতি ও সমাজের কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টা, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং ত্যাগ-তিতিক্ষার গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই গ্রন্থে। আশা করি, এটি পাঠকদের মাঝে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে এবং সমাজসেবার প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে।
গ্রন্থের মূল চরিত্র আইয়ুব রানা একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমি ধর্ম, বর্ণ ও জাতি নির্বিশেষে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করে যেতে চাই। এই গ্রন্থে আমার কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সামাজিক কাজে উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
উচ্ছ্বাস প্রকাশনীর প্রকাশক আহমেদ মনির বলেন, প্রতিবছরই আমরা অসংখ্য বই প্রকাশ করি, তবে সেলিম রানার লেখা প্রান্তজন আইয়ুব রানা গ্রন্থটি ব্যতিক্রমী। এটি শুধুমাত্র একজন মানুষের জীবনগল্প নয়, বরং সমাজের জন্য যারা আত্মনিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস। বইটি পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আমি আশাবাদী।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, আমাদের সমাজে অনেকেই নিঃস্বার্থভাবে সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, কিন্তু তারা থেকে যান আড়ালে। আইয়ুব রানা তাদেরই একজন। তিনি তার পুরো জীবন সামাজিক উন্নয়ন ও জনসেবায় উৎসর্গ করেছেন। এই বইটি কেবল তার সংগ্রাম ও অবদানকে তুলে ধরবে না, বরং পাঠকদের সমাজসেবার প্রতি উৎসাহিত করবে এবং নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পাঠক ও অতিথিরা বইটি সম্পর্কে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। একজন পাঠক বলেন, এই ধরনের বই আমাদের সমাজে সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে পারে। কারণ এটি কেবল একটি জীবনী নয়, বরং এটি একজন সংগ্রামী মানুষের জীবনের গল্প, যা নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে।
উচ্ছ্বাস প্রকাশনীর স্টল নম্বর ৬৬৯-এ বইটি পাওয়া যাচ্ছে। বইমেলায় এটি পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।
এদিকে সামাজিক উন্নয়নে যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের গল্প সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে প্রান্তজন আইয়ুব রানা গ্রন্থটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সাহিত্য ও সাংবাদিক মহল। এই বইটি শুধু আইয়ুব রানার জীবনগাথাই নয়, বরং এটি সমাজসেবার একটি বাস্তব উদাহরণ যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
কেকে/এএম