বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিগত তিনটি নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হতে পারে না। জালিম পালিয়েছে, জুলুম এখনো পালায়নি। দেশের মানুষের ওপর যারা জুলুম করেছে তাদের আগে বিচার হতে হবে। বিচারের আগে নির্বাচন হবে না। সংস্কার এবং বিচারের পরেই নির্বাচন হবে। তার আগে কোনো নির্বাচন হবে না।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুযারি) বেলা ১১টায় কুমিল্লার ব্রাক্ষপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিব আরো বলেন, নিজেদের অপকর্মের কারণে জনরোষে পড়ে ফ্যাসিস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মহান আল্লাহ বলেছেন, যারা আল্লাহর আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে না, তারা কাফের ও জালিম। তাই আগামীতে ইসলামপন্থিদের পক্ষে থাকতে হবে। বিগত স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং বৈষম্যমূলক দেশ গড়া। কিন্ত মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার পর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে এক দলীয় শাসন কায়েম করে আওয়ামী লীগ। শুধু তাই নয়, চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
উপজেলা জামায়াতে আমির মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও উত্তর জেলা জামায়াতে আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন, বুড়িচং-ব্রাক্ষপাড়া সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ডক্টর মোবারক হোসেন, উত্তর জেলা জামায়াতে নায়েবে আমির অধ্যাপক আলমগীর সরকার, উত্তর জেলা জামায়াতে সেক্রেটারি ও সাবেক দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শহীদ।
উপজেলা জামায়াতে সেক্রেটারি মাওলানা আনিসুর রহমানের পরিচালনায় কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা জামায়াতে সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুফতী আমিনুল ইসলাম, উত্তর জেলা জামায়াতে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মো. আব্দুল বারি, ব্রাক্ষপাড়া উপজেলা সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা মিজানুর রহমান আতিকী, জামায়াত নেতা অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, লুৎফর রহমান খান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মুফতী আব্দুল কাইয়ুম মজুমদার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের উত্তর জেলা সভাপতি সানাউল্লাহ রাসেলসহ অন্যরা।
কেকে/এএম