রংপুরের কাউনিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী দোলামনি নিখোঁজের ৪১ দিন পর সেফটি ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মধ্য ধর্মেশ্বর মহেশা (বিজলের ঘুন্টি) গ্রামের আফজাল হোসেনের সেফটি ট্যাংকি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্বজন ও সেনাবাহিনী জানায়, কুর্শা ইউনিয়নের মধ্য ধর্মেশ্বর মহেশা (বিজলের ঘুন্টি) গ্রামের দেলোয়ার মিয়ার কন্যা মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী দোলামনি (৪) বাড়ির লোকজনের অগোচরে ৪১ দিন পূর্বে শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে উঠানে বের হয়। এর কিছুক্ষণ পর তাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে তাকে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে না পেলে এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। দীর্ঘ ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও দোলামনির খোঁজ না মিললে ২৭ ফেব্রুয়ারি কাউনিয়া ও পীরগাছা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে দেলোয়ার হোসেন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
রংপুর ৭২ বিগ্রেডের অধীনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩০ বেঙ্গল ইউনিটের ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান নিয়নের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ৮টার দিকে দোলামনির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করে কাউনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পরে রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে কাউনিয়ার থানায় মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৩ জনকে সে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রংপুর আদালতে সোপর্দ করে কাউনিয়া থানাপুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ধর্মেশ্বর গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৫) একই গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মামুন মিয়া (১৯) ও আব্দুস সালামের ছেলে সুমন মিয়া (২৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ওসি তদন্ত মোস্তফা কামাল।
কেকে/এএম