ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে আল-আমীন (২৫) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পুটিয়া সীমান্তের ওপারে চিনি চোরাকারবারি সন্দেহে আল আমিনকে গুলি করে বিএসএফ। তবে নিহতের মরদেহ এখনও বাংলাদেশে হস্তান্তর করেনি ভারতীয় বিএসএফ।
নিহত আল-আমিন কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের দক্ষিণ পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে।
বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০বিজিবি) অধিনায়ক লে. কনেল জাবের বিন জব্বার জানান, শুক্রবার রাতে কসবার সালদানদী বিওপি এবং ৪৯/কামথানা বিএসএফ ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তের মেইন পিলার-২০৫০/৩ এস হতে আনুমানিক ২০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে (কাঁটাতারের ওপারে) পুটিয়া নামক স্থানে আল আমিন সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল।
এ সময় কামথানা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল চিনি চোরাকারবারি সন্দেহে রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এতে আলামিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতীয় বিএসএফের হাতে আটক হয়। পরে বিএসএফ তাকে উদ্ধার করে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আল আমিনের লাশ কামথানা বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে।
জানতে চাইলে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) অধীনস্থ সালদানদী বিওপির ইনচার্জ (নায়েক সুবেদার) আবু বক্কর বলেন, গতকাল (শুক্রবার) রাতে আল-আমিন নামক এক ব্যক্তিকে এক রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে বিএসএফ। এরপর তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি আমার অফিসারদের জানিয়েছি। বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে অফিসার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের কথা রয়েছে।
কেকে/এআর