মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় রাইজিং গ্রুপের পপুলার প্যাকেজ অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সাটুরিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে লুণ্ঠিত মালামালসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র-সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১ মার্চ) জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— মো. লাল চান (৪১), মো. রাসেল ওরফে আলামিন (২৬), মো. মোকাদ্দেছ (৬১), হৃদয় হাসান (১৯), মো. কাউছার (২৬), মো. জাহাঙ্গীর আলী (২৫), জাহিদ হাসান (৩৫), মো. আবু সাইদ (৫০), স্বপন মিয়া (২০), সাজেদুল শেখ (৩৫), লিয়াকত আলী (৫৪) ও আসামি শরিফ।
পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে কারখানার কর্মচারীরা খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন মুখোশধারী ডাকাত নিরাপত্তা প্রাচীর টপকে কারখানার প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে কারখানার কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং ফিনিশিং ফ্লোরে থাকা ডাইং পলিব্যাগ ও নগদ টাকা লুট করে একটি পিকআপে করে পালিয়ে যায়। এর পর রাত সোয়া ৪টার দিকে এক কর্মচারী কৌশলে হাতের বাঁধন খুলে ঢাকায় অবস্থানরত কারখানার ম্যানেজার মো. সাহেব আলীকে ফোন করে বিষয়টি জানান।
ঘটনার পর দিন রাইজিং গ্রুপের পপুলার প্যাকেজ অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেডের ডিজিএম (প্রশাসন) মো. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
রাইজিং কারখানার ডিজিএম কলিমউদ্দিন বলেন, ডাকাতির ঘটনার পরে কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পর পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজ শুরু করে। শুনেছি বেশ কয়েকজন ডাকাতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে আমরা আশা করি এই ধরনের ঘটনা আগামীতে আর ঘটবে না। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।
জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, খুন, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের শিগগির গ্রেফতার করা হবে।
কেকে/এআর