ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে খাইরুল ইসলাম নামে এক মসজিদ ইমামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ মার্চ) উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের বামনবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৫৮ বছর বয়সি খাইরুল ইসলাম নেকমরদ ইউনিয়নের ভবান্দপুর গ্রামের মৃত আশিরউদ্দীনের ছেলে। খায়রুল ইসলাম নেকমরদ বাজারের একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন। পাশাপাশি একটি হাসকিং মিলে নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি ২ মেয়ে ১ ছেলে সন্তানের জনক।
জানা গেছে, খাইরুল ইসলাম নেকমরদ দুর্ল্লভপুর গ্রামের সামসুদ্দিনের হাসকিং মিলে ২ বছর ধরে নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি প্রতিদিনের মতো মিলে এসেছিলেন। শনিবার সকালে তার মরদেহ মিল থেকে পশ্চিমে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি ভুট্টাক্ষেতে হাত পা বাধা অবস্থায় স্থানীয় এক কৃষক তার ভুট্টা খেতে দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। পরে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল নির্ণয় করে। এদিকে মিলে মূল্যবান কোনো জিনিসপত্র না হারালেও মিলের মূল গেটের তালা ভাঙ্গা পাওয়া যায় বলে জানান মিলের মলিক সামসুদ্দিন।
নিহতের ভাতিজা গোলাম রব্বানী বলেন, ওই মিল চাতালে নিয়মিত কিছু মাদকসেবী সেখানে মাদকদ্রব্য নিয়ে আড্ডা দিত। তাদের বাধা দিলে মাদকসেবীরা প্রায়সময় খায়রুলকে ভয়ভীতি দেখাত। আজ সকালে চাচাকে হাসকিং মিলের পাশের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে হাত বাধা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। শরীরে বিভিন্ন ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, কোনো সন্ত্রাসীদল এখানে ডাকাতি করতে এসেছিল। তবে সেই ডাকাতদলকে এই নৈশ্যপ্রহরী চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেছেন।
রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ আরশেদুল হক জানান, শনিবার সকালে ভুট্টাক্ষেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পুলিশ সেখানে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, মরদেহের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের ক্ষত পাওয়া গেছে। সিআইডিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন তদন্ত করছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
কেকে/এএম