টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরের এক প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় চামেলী বেগম নামের এক প্রসূতি মারা গেছেন। তিনি মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাম্মণবাড়ী গ্রামের ইজিবাইক চালক কাইয়ুম আলীর স্ত্রী।
ভুক্তভূগীর আত্মীয় মামুন মিয়া জানান, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চামেলী বেগমকে শহরের সিটি হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডাক্তার কোহিনূর বেগম এবং ঘাটাইল উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও অ্যানেস্থেসিস্ট শহিদুল ইসলাম খোকন মিলে সিজার করেন।
সিজারের পরই প্রসূতির অবস্থা খারাপ হয়। রক্ত বন্ধ হচ্ছিল না। শ্বাসকষ্ট কাহিল হয়ে পড়ে। রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর মারা যায়। আজ শনিবার সকালে তার লাশ মধুপুর সিটি হাসপাতালে আনা হলে কাইয়ুম ও তার আত্মীয়রা হাসপাতালের বারান্দায় গড়াগড়ি দিয়ে কান্নাকাটি এবং ভুল চিকিৎসায় চামেলিকে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করে।
চামেলীর আত্মীয়স্বজনরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে চামেলী রক্ত শূন্যতায় ভুগছিল। ডাক্তারকে সেটি অবহিত করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তড়িগড়ি অপারেশন করায় চামেলি মারা যায়।
ডা. কোহিনূরের মোবাইলে রিং দিলে ব্যস্ততার অজুহাতে বক্তব্য দিতে চাননি। ডাক্তার শহিদুল ইসলাম খোকন জানান, তিনি রোগীকে অজ্ঞান করেছেন। অপারেশন করেছেন ডাক্তার কোহিনূর। কী কারণে প্রসূতি মারা গেছেন, সেটি তিনিই বলতে পারবেন। সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই রোগীর অপারেশন হয়।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডাক্তার ডা. মো. মিনহাজ উদ্দীন মিয়া জানান, তিনি প্রসূতি মৃত্যর বেদনাদায়ক খবরটি জেনেছেন। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম